গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তার একটা বড় অংশই জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে তাই চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন দুবরাজপুর ব্লকের হেতমপুর পঞ্চায়েতের সেকুপুর গ্রামের বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের বাইরে যাওয়া এবং আসার জন্য বর্তমানে একটি তালগাছের গুঁড়ি-ই সম্বল। বিষয়টি নিয়ে দরবার করলেও স্থানীয় পঞ্চায়েত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, হেতমপুর পঞ্চায়েত এলাকার ওই গ্রামটি আদতে খুবই ছোট। সাকুল্যে ৩০টি পরিবারের বাস। এক দিকে শাল নদী, অন্য দিকগুলিতে ধানখেত। দুবরাজপুরের দরবেশ পাড়ার কাছ থেকে মাঠ ও ধানজমির মধ্যে দিয়েই একটি মোরাম রাস্তা গ্রাম পর্যন্ত এসেছে। কিন্তু, বর্ষা হলেই কার্যত জলবন্দি হয়ে পড়ে মূলত কৃষিজীবী পরিবারগুলি। রাস্তাটি কখনও কখনও ডুবেও যায়। এ বার গ্রামে ঢোকার মুখেই কালভার্টের কাছ থেকে প্রায় ১০ ফুট অংশ জলে ভেঙে গিয়েছে।
গ্রামবাসী লালু বাউড়ি, সন্তোষ বাউড়ি, নমিতা বাউড়ি, অষ্টমী বাউড়ি, চঞ্চল মুখোপাধ্যায়, রঞ্জিত মুখোপাধ্যায়রা বলছেন, ‘‘এলাকাটা নিচু হওয়ায় দুবরাজপুরের দিক থেকে বর্ষার জল সব গ্রামের দিকে আসে। একটি চেক ড্যাম আছে। কিন্তু, সেটাও ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় প্রতি বছর বর্ষায় এমন দুর্ভোগ পোহাতে হয় আমাদের। পঞ্চায়েত সব জানে। শুধু মাত্র রাস্তাটি একটু উঁচু করে একটি শক্তপোক্ত কালভার্ট করে দেয়, তা হলেই সমস্যা মেটে। কিন্তু সেই কাজটাই হচ্ছে না।’’ তাঁরা আরও জানান, স্কুলপড়ুয়া থেকে মহিলা, গবাদি পশু থেকে রোগী— সকলকেই একই কষ্ট করতে হচ্ছে। বাসিন্দাদের অক্ষেপ, বাম আমলেও হয়নি। তৃণমূলের আমলেও সমস্যা মিটল না।
হেতমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান বুদিবালা দাস বলছেন, ‘‘বৃষ্টির জন্যই কাজে হাত দেওয়া যায়নি। এ দিন থেকেই হিউম পাইপ দিয়ে তার উপর মাটি ফেলে আপাতত চলাফেরার রাস্তা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy