Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
বিডিও-র দ্বারস্থ দুই যুবক

তথ্য গোপনের অভিযোগ পঞ্চায়েতে

তথ্য জানার অধিকার আইনে পঞ্চায়েতের কিছু কাজের ব্যাপারে তথ্য চেয়েও পঞ্চায়েত ও বিডি-র কাছ তা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন হিড়বাঁধের মশিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই যুবক। হিড়বাঁধ ব্লকের মশিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতটি বর্তমানে সিপিএমের দখলে। মশিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা গিরিধারী রায় জানিয়েছেন, গত এক বছরে এলাকায় টিউবওয়েলের যন্ত্রাংশ কেনার কোটেশনের ব্যাপারে তথ্য জানতে চেয়ে গত ২৩ জুলাই তিনি প্রধানের কাছে আবেদন করেছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হিড়বাঁধ শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০০:৫০
Share: Save:

তথ্য জানার অধিকার আইনে পঞ্চায়েতের কিছু কাজের ব্যাপারে তথ্য চেয়েও পঞ্চায়েত ও বিডি-র কাছ তা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন হিড়বাঁধের মশিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই যুবক।

হিড়বাঁধ ব্লকের মশিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতটি বর্তমানে সিপিএমের দখলে। মশিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা গিরিধারী রায় জানিয়েছেন, গত এক বছরে এলাকায় টিউবওয়েলের যন্ত্রাংশ কেনার কোটেশনের ব্যাপারে তথ্য জানতে চেয়ে গত ২৩ জুলাই তিনি প্রধানের কাছে আবেদন করেছিলেন। তাঁর দাবি, “তথ্য জানার অধিকার আইনে পঞ্চায়েত থেকে আমাকে এই তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক। তা সত্ত্বেও এখনও কোনও তথ্য পাইনি।” তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েতে আবেদন করেও তথ্য পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তিনি গত ২৯ সেপ্টেম্বর লিখিত ভাবে বিডিওকে জানান। তারপরে বিডিও নিরুত্তর।

একই ভাবে ওই পঞ্চায়েতের চাকাডোবা গ্রামের বাসিন্দা শুভাশিস রায়ও গত ৫ অগস্ট প্রধানের কাছে একটি তথ্য জানতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তিনিও সেই তথ্য আজও পাননি। শুভাশিসবাবু বলেন, “গত এক বছরে এলাকায় ১০০ দিন প্রকল্পে কাজ হয়েছে। সেই কাজে প্রধান তাঁর নিজস্ব চেক থেকে শ্রমিকদের যে মজুরি দিয়েছেন তার হিসাব জানতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলাম। প্রধানের তরফে জবাব আসেনি।’’ তাঁর ক্ষোভ, আবেদন জানানোর এতদিন পরেও পঞ্চায়েত থেকে তথ্য মিলছে না। বিডিও-র কাছে গত ২৯ সেপ্টেম্বর লিখিত ভাবে তিনি বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তাতেও কোনও কাজ হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। দুই আবেদনকারীরই অভিযোগ, পঞ্চায়েতের কাজে নিশ্চয় কোনও গরমিল রয়েছে। তাই প্রধান তথ্য দিতে এতদিন ধরে গড়মসি করছেন।

হিড়বাঁধের বিডিও শঙ্খশুভ্র দে বলেন, “মশিয়াড়া পঞ্চায়েত এলাকার দুই বাসিন্দা তথ্য জানার অধিকার আইনে তথ্য জানতে চেয়েও তা পাচ্ছেন না বলে আমার কাছে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান এবং কার্যনির্বাহী আধিকারিককে ওঁদের তথ্য দিতে বলেছি। কেন এতদিনেও ওই দু’জনকে পঞ্চায়েত থেকে তথ্য দেওয়া হল না, প্রধানের কাছে জানতে তা চাওয়া হয়েছে।”

মশিয়াড়া পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের অংশুমান বাউরি অবশ্য তথ্য দিতে না পারার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। প্রধানের দাবি, “পঞ্চায়েতে নির্মাণ সহায়ক, সচিব নেই। কার্যনির্বাহী আধিকারিক একা হাতে সব কাজ সামলাচ্ছেন। পুজোর পরে উনি এখন নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজে ব্যস্ত। এই কারণেই আবেদনকারী ওই দু’জনকে তথ্য দিতে দেরি হচ্ছে। এ ব্যাপারে তাঁদের পঞ্চায়েতের তরফে চিঠি দিয়ে কিছু সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছে।” তাঁর আশ্বাস, খুব শীঘ্রই তাঁদের তথ্য দেওয়া হবে। প্রধান দাবি করেছেন, “সরকারি নিয়ম মেনেই সব কাজ হচ্ছে। দুর্নীতি বা গরমিল যে নেই তা তথ্য পেলেই আবেদনকারীরা জানতে পারবেন। আসলে কারও প্ররোচনায় আমাদের ব্যতিব্যস্ত করার জন্যই ওই দুই ব্যক্তি এ সব করেছেন বলে মনে হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bdo help hirbandh panchayat info secrecy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE