Advertisement
E-Paper

তথ্য মেলেনি, চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে

বছর খানেক আগে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের কাছে সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আবেদন করেও প্রয়োজনীয় তথ্য মেলেনি। খোদ জেলাশাসকের দৃষ্টি আর্কষণ করেও কোনও সুরাহা মেলেনি। ক্ষুব্ধ আবেদনকারী তাই এ বার তথ্য পেতে চিঠি পাঠালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই। ময়ূরেশ্বরের ছোট-তুড়িগ্রামের ঘটনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৫৫

বছর খানেক আগে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের কাছে সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আবেদন করেও প্রয়োজনীয় তথ্য মেলেনি। খোদ জেলাশাসকের দৃষ্টি আর্কষণ করেও কোনও সুরাহা মেলেনি। ক্ষুব্ধ আবেদনকারী তাই এ বার তথ্য পেতে চিঠি পাঠালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই। ময়ূরেশ্বরের ছোট-তুড়িগ্রামের ঘটনা।

প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ মকরম আলি ১৯৯৭ সালে স্থানীয় কুষ্টিকুড়ি গ্রামের বিঘে খানেক জমি কেনেন। সিউড়ি সাব রেজিষ্টার অফিসে ওই জমি তিনি রেজিষ্টারীও করেন। যার নং- পি৩২৫৬। নিয়মমাফিক ওই অফিস থেকেই তিন মাসের মধ্যেই তাঁর দলিল পাওয়ার কথা। কিন্তু আজও তিনি দলিল পাননি বলে অভিযোগ। মকরম বলেন, “দফতরের আধিকারিকরা ‘আজ নয়, কাল’ করতে করতে বছরের পর বছর হয়রানি করছেন। এমনকী তথ্য জানার আইন অনুসারে আবেদন করেও ওই দলিলের কোনও হদিশ তো মেলেনি। কোনও তথ্যও জানানো হয়নি।” ঘটনা হল, ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর ১০ টাকার ‘কোর্ট ফি’ সহ জেলা রেজিষ্টারের কাছে সংশ্লিষ্ট দলিল অথবা দলিল সম্পর্কিত তথ্য পাওয়ার জন্য আবেদন করেন মকরকম আলি। নিয়মানুযায়ী, ত্রিশ দিনের মধ্যে তাঁর দলিল কিংবা তথ্য পাওয়ার কথা। তা দেওয়া সম্ভব না হলে কেন সম্ভব হল না, তার কারণ লিখিতভাবে আবেদনকারীকে চিঠি দিয়ে জানানোর কথা দফতরের।

অন্যথায় জরিমানার নিয়ম রয়েছে। মকরম আলির অভিযোগ, “চিঠি দিয়ে জানানো তো দূরের কথা, বার বার দফতরে গিয়েও কোনও সদুত্তর পাইনি। এমনকী ঘটনার কথা জেলাশাসককে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। অবশেষে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। চিঠিতে তিনি তথ্য পাওয়ার আবেদনের পাশাপাশি লিখেছেন, “তথ্য জানার আইন সম্পর্কে মানুষকে অবহিত প্রচরাভিযানে সরকার অঢেল টাকা খরচ করছে। কিন্তু কতিপয় সরকারি আধিকারিকের গাফিলতিতে ওই আইনের সুফল মানুষ পাচ্ছেন না। ওইসব আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিন। না’হলে প্রচারের ঢক্কা নিনাদই সার হবে।”

জেলা রেজিষ্টার বলরাম অধিকারী বলেন, “ঘটনাটি আমি এখানে কাজে যোগ দেওয়ার আগে ঘটেছে। তাই খোঁজ না নিয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে ওই আবেদনকারী যদি যোগাযোগ করেন, তাহলে খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।” জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী বলেন, “উনি যে দফতরে তথ্যের জন্য আবেদন করেছিলেন, সেই দফতরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাতে হবে।”

mayureswar letter chief minister
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy