প্রশিক্ষণের পরে দশ মাস পেরিয়ে গেলেও তাঁদের নিয়োগ করা হয়নি কেন, এই প্রশ্ন তুলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে বিক্ষোভ-অবস্থান করলেন পুরুলিয়ার ‘অক্জিলিয়ারি নার্সিং মিডওয়াইফারি’-র (এএনএম) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্যেরা এএনএম (দ্বিতীয়)। বুধবার পুরুলিয়া শহরে জেলা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ঘণ্টা তিনেক বিক্ষোভ দেখান জনা পঞ্চাশেক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী। স্বাস্থ্য দফতরের কাছ থেকে নিয়োগের বিষয়ে নিশ্চয়তা না পেয়ে তাঁরা জেলা পরিষদের সভাধিপতিরও দ্বারস্থ হন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনের আওতায় এই এএনএমকর্মীরা দশ মাস আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার হাসপাতাল থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এ দিন বিক্ষোভ-অবস্থানে বসা স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সীমা প্রধান, মৌ রজকদের দাবি, তাঁদের আগে যে এএনএম-রা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, সেই কর্মীদের সকলকেই নিয়োগ করা হয়েছে। অথচ, প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পরেও তাঁদের নিয়োগ করতে টালবাহানা করছে স্বাস্থ্য দফতর। ওই স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, “প্রশিক্ষণ শেষে আমরা জেলা স্বাস্থ্য দফতরে যোগাযোগ করেছিলাম। সেই সময় আমাদের দ্রুত নিয়োগের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, দশ মাস পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ করা হচ্ছে না। এমনকী, স্বাস্থ্য দফতরে আধিকারিকেরা আমাদের সমস্যা মেটানোর বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতেও রাজি নয়।”
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, পুরুলিয়ার উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে অস্থায়ী ভাবে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয় এই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের। মূলত, প্রসূতি ও শিশুদের স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত কাজ এবং গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এএনএম-দের। জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনের আওতায় এই প্রকল্পে আগে পুরুলিয়ার ৪৮৫টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে প্রায় ৪১৫টিতে প্রশিক্ষণের পরে এএনএম- দের নিয়োগ করা হয়েছিল প্রথম ধাপে। সেই সময় নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশিকা নিয়ে সমস্যা ছিল না। কিন্তু, দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জেলায় পাঠানো হয়নি বলেই তাঁদের নিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না। পুরুলিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন বা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশ না পেলে আমাদের পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy