পরিদর্শনে গিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলতে দেখে দুই পঞ্চায়েত কর্মীকে শো-কজ করলেন রামপুরহাট মহকুমাশাসক। মঙ্গলবার সকালের ঘটনা। মহকুমা শাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, “সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ নলহাটি ২ ব্লকের শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতে পরিদর্শনে গিয়ে দেখি, সেখানে মূল গেটের সামনে তালা ঝুলছে। তখনও কোনও পঞ্চায়েত কর্মী উপস্থিত হয়নি। এর পর বিডিওকে বিষয়টি জানান হয়। পরে সকাল এগারটা পর্যন্ত পঞ্চায়েতে কেউ আসেনি দেখে, পঞ্চায়েত কর্মীদেরকে শো-কজ করার জন্য বিডিওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাহী আধিকারিক, পঞ্চায়েত সচিব এবং আরও দুটি পদে কর্মী নেই। পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক, জব অ্যাসিন্টান্ট এবং দু’জন পঞ্চায়েত কর্মী চার জন স্টাফ নিয়ে পঞ্চায়েত চলছে। নলহাটি ২ ব্লকের বিডিও গোবিন্দ নন্দী বলেন, “পঞ্চায়েতের দু’জন জি পি কর্মী তাঁদের কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য সকালে পঞ্চায়েতে যেতে পারেননি। বাকি দু’জন কর্মী নির্মাণ সহায়ক এবং জব অ্যাসিন্টান্ট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অফিসে আসেননি। সে জন্য তাঁদেরকে মহকুমাশাসকের নির্দেশে শো-কজ করা হয়েছে।” এদিকে নির্মাণ সহায়ক মহম্মদ আজাহার বলেন, “পঞ্চায়েতে কর্মীর সংখ্যা কম। অনেক চাপ আমাদের নিতে হয়। এক্ষেত্রে যা বলার মহকুমাশাসককে জবাব দেব।”
রামপুরহাট মহকুমাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, “স্টাফ কম তাই বলে নিজের কাজটা তো করতে হবে।” মঙ্গলবার সকালে পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলছে দেখে তিনি শীতলগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চলে যান। এক বছর ধরে সেখানে একমাত্র চিকিৎসক পদ শূন্য হয়ে রয়েছে। কিছুদিন আগে চিকিৎসক নিয়োগের দাবিতে বাসিন্দারা হাসপাতালের গেটে তালা লাগিয়েও দিয়েছিলেন। মহকুমাশাসক সেখানে গিয়ে দেখেন, একমাত্র ফার্মাসিষ্ট সেখানে কাজ চালাচ্ছেন। ফার্মাসিষ্টকে পাশে বসিয়ে রোগী দেখতে থাকেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশাপাশি থাকা শীতল গ্রাম উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যে দু’জন এএনএম আছেন, তাঁদের মধ্যে কারা কোথায় ডিউটিতে রয়েছেন, তাঁদেরও খোঁজ নেন। প্রায় এক ঘন্টা কাটিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ২৫ জন রোগীকে দেখার পর মহকুমা শাসক জানান, “হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধের যোগান আছে। শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানাব।”
এ দিন শীতলগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শনে এলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ করেন, চাষের কাজের জন্য হাই স্কুলে বারো দিন ছুটি ঘোষনা করা হয়েছিল। গ্রাম বাসীদের একাংশের আন্দোলনে তা আটকানো গিয়েছে। অভিযোগ পেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে যান মহকুমাশাসক। কি কারণে ছুটি ঘোষনা করেও স্কুল কর্তৃপক্ষ ছুটি বাতিল করেছে, সে আলোচনা করে ছুটি দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে দেন তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy