Advertisement
২২ মে ২০২৪

বৈঠকে মালিক পক্ষ নেই, বিক্ষোভ বিড়ি শ্রমিকদের

মালিক পক্ষের সঙ্গে দাবিদাওয়া সংক্রান্ত বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় জেলার সহকারী শ্রম মহাধ্যক্ষের দফতরে বিক্ষোভ দেখাল আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত পুরুলিয়া জেলা বিড়ি শ্রমিক লেবেলিং এন্ড প্যাকিং ওয়াকার্স ইউনিয়ন। জেলা শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিড়ি কারখানার মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ ও শ্রম দফতরের প্রতিনিধিদের একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার ছিল পুরুলিয়ার সহকারী শ্রম মহাধ্যক্ষের (পশ্চিম) দফতরে।

সহকারী শ্রম মহাধ্যক্ষের অফিসের বাইরে চলছে বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র।

সহকারী শ্রম মহাধ্যক্ষের অফিসের বাইরে চলছে বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৫ ০১:১৬
Share: Save:

মালিক পক্ষের সঙ্গে দাবিদাওয়া সংক্রান্ত বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় জেলার সহকারী শ্রম মহাধ্যক্ষের দফতরে বিক্ষোভ দেখাল আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত পুরুলিয়া জেলা বিড়ি শ্রমিক লেবেলিং এন্ড প্যাকিং ওয়াকার্স ইউনিয়ন। জেলা শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিড়ি কারখানার মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ ও শ্রম দফতরের প্রতিনিধিদের একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার ছিল পুরুলিয়ার সহকারী শ্রম মহাধ্যক্ষের (পশ্চিম) দফতরে।

বিড়ি শ্রমিকদের সংগঠনের সভাপতি প্রফুল্ল মাহাতো বলেন, “আমরা শ্রমিক-স্বার্থে শ্রম দফতরে ৯ দফা দাবি পেশ করেছিলাম। তার মধ্যে মাসিক বেতন, শ্রমিকদের পরিচয় পত্রে মালিকদের স্বাক্ষর, শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ, আট ঘণ্টা কাজ, সরকারি নিয়ম মেনে ছুটি-সহ কয়েকটি দাবি ছিল। মালিক পক্ষেরও প্রতিনিধিদেরও এই বৈঠকে আসার কথা ছিল। কিন্তু এ দিন আমরা হাজির থাকলেও মালিক পক্ষ গরহাজির ছিলেন। তাঁরা আগেই শ্রম দফতরকে চিঠি দিয়ে এ দিন থাকতে পারবে না বলে জানালেও আমাদের জানায়নি। সেই রাগেই বিক্ষোভ দেখানো হয়।”

এ দিন দুপুরে মিছিল করে শ্রমিকরা ওই অফিসে আসেন। এসেই তাঁরা জানতে পারেন যে মালিকপক্ষ না আসায় বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকেরা। সংগঠনের সম্পাদক ভবতোষ কুমারের ক্ষোভ, “বৈঠক বাতিলের কথা আগে আমাদের জানাতে পারত। তাহলে আমরা একদিনের মজুরি ছেড়ে এখানে আসতাম না।” সহকারী শ্রম মহাধ্যক্ষের কাছে তাঁরা জানতে চান কেন তাঁদের বৈঠক বাতিলের খবর আগাম জানানো হয়নি। শ্রম কমিশনার তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। পরের বৈঠক আসানসোলে ডেপুটি শ্রম কমিশনারের অফিসে হবে জানানোর পরে তাঁদের বিক্ষোভ থামে।

পুরুলিয়া জেলা ব্রান্ডেড বিড়ি ম্যানফ্যাকচারার্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির পক্ষে রাইমোহন সাহা বলেন, “কেন্দ্র সরকারের তামাক আইনে সারা দেশেই এখন বিড়ি শিল্প চরম সঙ্কটের মুখে। শিল্প বাঁচাতে আমরা নিজেরাও আন্দোলনে নেমেছি। এই অবস্থায় এ দিনের বৈঠকে আমরা যেতে পারিনি।” জেলা শ্রম মহাধ্যক্ষ সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, “একদিনে সব সমস্যার সমাধান হয় না। কয়েক দফার বৈঠক হয়। এ ক্ষেত্রেও ফের বৈঠক ডাকা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bidi labour agitation purulia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE