রামপুরহাটে মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য রুটের বাস সরবরাহ করায় দিনভর ভোগান্তি হল নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষের। গন্তব্যে পৌঁছতে বাসের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেলার নানা প্রান্তে অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, সোমবার বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য বোলপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সরকারি ষাটের কিছু বেশি বাস নেওয়া হয়েছিল। বোলপুর থেকে পালিতপুর, কীর্ণাহার, কঙ্কালীতলা, সিউড়ি এবং ইলামবাজারের দিকে প্রায় কুড়িটি রুটে দেড়শোর কিছু বেশি বেসরকারি বাস চলে প্রত্যহ। সোমবার ওই বাসস্ট্যান্ড থেকে ষাটটি বাস তুলে নেওয়ায় হয়রানির শিকার হতে হয়েছিল নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষদের। ফের মঙ্গলবার আবার রামপুরহাটে মুখ্যমন্ত্রী জনসভার জন্য জেলার একাধিক রুটের বাস তুলে নেওয়ায় দিনভর চরম হেনস্থা এবং ভোগান্তি হল নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষদের। ইলামবাজার, লাভপুর, সাঁইথিয়া, সিউড়ি-সহ একাধিক জায়গার বাসস্ট্যান্ড থেকে অনেক বাস তুলে নেওয়া হয়েছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে জনসভার জন্য সমানে রুটের বাসগুলি তুলে নেওয়ায় ভুগতে হচ্ছে তাঁদের। জরুরি প্রয়োজনে কেউ কেউ অধিক টাকা দিয়ে অন্য গাড়ি ভাড়া করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। অনেকের আবার সেই সামর্থ না থাকায় কেউ কেউ আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন।
জেলা আইএনটিইউসি নেতা ফারুক আহমেদের অভিযোগ, “বোলপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় ষাটটি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে। সোমবার এবং মঙ্গলবার দু’দিন ধরে চরম ভোগান্তি হয়েছে যাত্রীদের। একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমি যুক্ত থেকেও বলছি, প্রয়োজনীয় বিকল্প ব্যবস্থা না করে, এহেন রাজনৈতিক সভা সমাবেশের জন্য রুটের বাস তোলা কে আমরা সমর্থন করি না।” বীরভূম জেলা পরিবহণ শ্রমিক কংগ্রেস (আইএনটিইউসি)-এর সম্পাদক পান্না ঘোষ জানিয়েছেন, মাত্র ১৫টি বাস চলেছে রামপুরহাট এলাকায়। ৮০টির কিছু বেশি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে। একই চিত্র সদর শহর সিউড়িতেও।” বীরভূম জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির বোলপুর শাখার সহ-সম্পাদক সুজিতকুমার মণ্ডল বলেন, “বোলপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে কোনও রুটের বাস দেওয়া হইনি বলে আমার কাছে খবর আছে। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।” আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “আমরা বিশেষ করে জোর দিয়েছি ট্রাক, ট্রাক্টরের ওপর এবং খুবই কম রুটের বাস গিয়েছে বলেই জানি। কিন্তু তাতে বিভিন্ন রুটের যাত্রী সাধারণের অসুবিধে হয়েছে এমন অভিযোগ পাইনি এবং সেটা মনে হয় সঠিকও নয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য বিশাল জন সমাগমের কারণে, রামপুরহাট এলাকায় এবং জেলার কিছু সংযোগ স্থলে যানজটের জেরে বাসিন্দাদের সমস্যার কথা শুনেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy