Advertisement
০৫ মে ২০২৪

বছর পার হলেও মেলেনি মজুরি

এক বছর আগে একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করেছিলেন তাঁরা। এখনও মেলেনি মজুরি। বকেয়া সেই মজুরির দাবিতে পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখালেন শ্রমিকেরা। ঘটনাটি কাশীপুর ব্লকের সিমলা ধানাড়া পঞ্চায়েতের। মঙ্গলবার মাজুড়া গ্রামের জনা তিরিশ শ্রমিক পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ-প্রশাসনের উপস্থিতিতে তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন পঞ্চায়েতের প্রধান সরস্বতী হেমব্রম।

তুমুল বচসা। কাশীপুর ব্লকের সিমলা ধানাড়া পঞ্চায়েতে।—নিজস্ব চিত্র।

তুমুল বচসা। কাশীপুর ব্লকের সিমলা ধানাড়া পঞ্চায়েতে।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাশীপুর শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:০১
Share: Save:

এক বছর আগে একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করেছিলেন তাঁরা। এখনও মেলেনি মজুরি। বকেয়া সেই মজুরির দাবিতে পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখালেন শ্রমিকেরা। ঘটনাটি কাশীপুর ব্লকের সিমলা ধানাড়া পঞ্চায়েতের। মঙ্গলবার মাজুড়া গ্রামের জনা তিরিশ শ্রমিক পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ-প্রশাসনের উপস্থিতিতে তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন পঞ্চায়েতের প্রধান সরস্বতী হেমব্রম।

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর মার্চ মাসে সিমলার একটি রায়তি জমিতে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে মাটি ভরাটের কাজ করেছিলেন মাজুড়া গ্রামের জনা জনা চল্লিশ শ্রমিক। চার দিন ধরে কাজ করেছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, মজুরি পেয়েছেন মাত্র নয় জন। বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের মধ্যে রামেশ্বর মুর্মু, ফুলমণি বাস্কে, গয়ামণি বেসরাদের দাবি, সেই সময়ে ওই কাজের সুপারভাইজার কাঞ্চন মাহাতো তাঁদের বলেছিলেন দৈনিক দুই-তিন ঘন্টা কাজ করতে হবে। পরিবর্তে মজুরি মিলবে ১৫১ টাকা করে। কম সময়ে কাজ করেও মজুরি পাওয়ার আশায় কাজ করেছিলেন গ্রামের ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের ক্ষোভ, “কাজ করার পরে দেখা গেল, মাত্র ন’জন মজুরি পেয়েছে। বাকিরা এক টাকাও পায়নি!” এ দিন সকালের দিকে ওই শ্রমিকেরা পঞ্চায়েত অফিসে এসে কর্মীদের বাইরে বের করে দিয়ে পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে কাশীপুর থানা থেকে পুলিশ ও ব্লক অফিস থেকে একশো দিনের কাজের প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা পঞ্চায়েতে যান। তাঁদের উপস্থিতিতে বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনায় বসেন পঞ্চায়েত প্রধান। ডেকে পাঠানো হয় সুপারভাইজার কাঞ্চন মাহাতোকে। তিনি দাবি করেন, যে সময়ে মাটি ভরাটের কাজ হয়েছিল, তখন নয় জন ছাড়া বাকি শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়নি। তাই শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার পরেই ওই ন’জনের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হয়েছিল এবং সিদ্ধান্ত হয়েছিল, টাকা তুলে শ্রমিকেরা নিজেদের প্রাপ্য অনুযায়ী মজুরি নিয়ে নেবেন। কিন্তু যাঁরা টাকা তুলেছিলেন, তাঁরা বাকিদের মজুরি না মেটাতেই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে দাবি কাঞ্চনের।

প্রধান সরস্বতীদেবী বলেন, “সুপারভাইজার সেই সময়ে নিয়মবহির্ভূত কাজ করেছিলেন। আলোচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যে শ্রমিকেরা টাকা পেয়েছিলেন, তাঁরাই বাকীদের প্রাপ্য মজুরি অনুযায়ী টাকা মিটিয়ে দেবেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

100 days wages MNREGA wages kashipur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE