Advertisement
০৫ মে ২০২৪

মিটারে হাত দিতেই মৃত্যু, কর্মীকে আটকে রাখলেন গ্রামবাসী

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এক ঠিকাকর্মীর গাফিলতির অভিযোগ তুলে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখলেন গ্রামবাসীরা। ওই ঠিকাকর্মীকে উদ্ধার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল পুলিশকে। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি থানার মুরুলিয়া গ্রামে। বিকেলে পুলিশ ও বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকেরা গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। প্রায় ছ’ঘণ্টা আটকে থাকার পরে ওই ঠিকাকর্মীকে উদ্ধার করতে সমর্থ হন তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সাঁতুড়ি শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৪ ০০:৪৮
Share: Save:

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এক ঠিকাকর্মীর গাফিলতির অভিযোগ তুলে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখলেন গ্রামবাসীরা। ওই ঠিকাকর্মীকে উদ্ধার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল পুলিশকে। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি থানার মুরুলিয়া গ্রামে। বিকেলে পুলিশ ও বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকেরা গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। প্রায় ছ’ঘণ্টা আটকে থাকার পরে ওই ঠিকাকর্মীকে উদ্ধার করতে সমর্থ হন তাঁরা।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম শেখ হাবিবুল(২২)। বাড়ি মুরুলিয়া গ্রামেই। স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ হাবিবুলের বাড়িতে মিটার রিডিং নিতে গিয়েছিলেন সোনা সোরেন নামের ওই ঠিকাকর্মী। মিটারে ময়লা থাকায় তিনি হাবিবুলকে পরিষ্কার করে দিতে বলেছিলেন। মিটারে হাত দিতেই বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হন হাবিবুল। তাঁকে উদ্ধার করে আত্মীয়েরা নিয়ে যান সাঁতুড়ির মুরাডি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, হাবিবুল মারা গিয়েছেন।

হাবিবুল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পরেই সোনাবাবুকে গ্রামের মধ্যে একটি বাড়িতে আটকে রেখেছিলেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ওই কর্মীকে উদ্ধার করতে গ্রামে যায় সাঁতুড়ি থানার পুলিশ। বাসিন্দারা পুলিশকর্মীদেরও আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান। পরে বড় পুলিশ বাহিনী এবং সাঁতুড়ি ও নিতুড়িয়া থানার ওসিকে নিয়ে গ্রামে যান রঘুনাথপুরের সিআই সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, বিদ্যুৎ দফতরের ওই ঠিকাকর্মীর গাফিলতিতেই হাবিবুলের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করতে থাকেন স্থানীয় মানুষ। পাশাপাশি জানিয়ে দেন, মৃতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না দেওয়া হলে ওই ঠিকাকর্মীকে ছাড়া হবে না।

ওই ঠিকাকর্মী অবশ্য দাবি করেছেন, “হাবিবুলকে মিটার পরিষ্কার করার জন্য বলেছিলাম। মনে হয়, কোনও কারণে মিটারটি বিদ্যুৎ পরিবাহী হয়ে পড়েছিল। তাই মিটারে হাত দেওয়া মাত্রই ওই যুবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এ ক্ষেত্রে আমার কোনও গাফিলতি নেই।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আধিকারিকদের গ্রামে এসে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য পুলিশের তরফ থেকেই বলা হয়েছি। সেই মতো এ দিন বিকেলের গ্রামে যান দফতরের দুই আধিকারিক। মুরাডি পঞ্চায়েত কার্যালয়ে বসে আলোচনা হয় পুলিশের উপস্থিতিতে। দফতর সূত্রের খবর, বিদ্যুৎ সরবারহে গাফিলতির কারণে কারও মৃত্যু হলে সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধি রয়েছে। বণ্টন সংস্থার পুরুলিয়ার সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার অশোক দলুই বলেন, “ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। ঠিক কী পরিস্থিতিতে এবং কার গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE