Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

মন্ত্রিত্ব খোয়ালেন নুরে আলম

মুরারইয়ের বিধায়ক নুরে আলম চোধূরীকে মন্ত্রীত্ব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। তাঁর মন্ত্রীত্ব চলে যাওয়ার খবরে মুরারই বিধানসভার অধিকাংশ তৃণমূল কর্মীর মধ্যে খুশির হাওয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মীদের দাবি, “এলাকার সঙ্গে জন বিচ্ছিন্ন ছিলেন মন্ত্রী। তাই তাঁকে সরিয়ে ভালই করেছেন নেত্রী।” ওই সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, মুরারই বিধানসভা এলাকার মধ্যে মুরারই, চাতরা, আমডোল, রাজগ্রাম এলাকার পরিশ্রুত পানীয় জল প্রকল্প প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মুরারই শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৪ ০০:৩৭
Share: Save:

মুরারইয়ের বিধায়ক নুরে আলম চোধূরীকে মন্ত্রীত্ব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। তাঁর মন্ত্রীত্ব চলে যাওয়ার খবরে মুরারই বিধানসভার অধিকাংশ তৃণমূল কর্মীর মধ্যে খুশির হাওয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মীদের দাবি, “এলাকার সঙ্গে জন বিচ্ছিন্ন ছিলেন মন্ত্রী। তাই তাঁকে সরিয়ে ভালই করেছেন নেত্রী।” ওই সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, মুরারই বিধানসভা এলাকার মধ্যে মুরারই, চাতরা, আমডোল, রাজগ্রাম এলাকার পরিশ্রুত পানীয় জল প্রকল্প প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে। চালু প্রকল্প থেকে এলাকাবাসী ঠিক মতো পরিষেবা পাচ্ছেন না। মন্ত্রীর নজরে এলাকাবাসী একাধিক বার আনলেও ওই সমস্ত প্রকল্প গুলি নিয়ে মন্ত্রী গুরুত্ব দেয়নি। তৃণমূল কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, মুরারই মিত্রপুর রাস্তা বেহাল দশা মেরামত করার জন্য মন্ত্রী কে এলাকা বাসীর একাংশ দাবি জানিয়ে ঘেরাও করেছিল। মন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুড় করেছিল বিক্ষুব্ধ জনতা। তবুও ওই রাস্তার হাল ফেরেনি।

এছাড়া মুরারই এর ভিতরে রাস্তা, মুরারই - হরিশপুর রাস্তা, রাজগ্রাম মহুরাপুর রাস্তা সংস্কারে মন্ত্রীকে বলা হলেও কোনও পদক্ষেপ নেন তিনি। এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, মুরারই বিধানসভার মধ্যে মুরারই ১ ব্লকের অধীন মুরারই গ্রামীন হাসপাতালে চিকিৎসক নিয়োগ এবং পরিষেবার উন্নতির দাবিতে মন্ত্রীকে বলা হলেও তাঁর সদর্থক ভূমিকা দেখা যায়নি। এছাড়া চাতরা ও রাজগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র দুটির বেহাল দশা কাটানোর ক্ষেত্রেও মন্ত্রী তেমন নজর দেননি।

মুরারই থানার রামচন্দ্রপুর, খুটখাইল গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাগলা নদী ব-দ্বীপের মতো গ্রাম দুটিকে ঘিরে রেখেছে। কিন্তু গ্রাম দুটি যাওয়ার পথ সেঁতু অভাবে আজও দুর্গম হয়ে আছে। নদীর উপর সেঁতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রীর কাছে এলাকা বাসী জানালেও তাঁর তরফ থেকে কোনও সদর্থক ভূমিকা দেখা যায়নি। একই অভিযোগ ওই একই থানার মীরপুর গ্রামের বাসিন্দাদেরও। তাঁরা জানান, মীরপুর গ্রাম যাওয়া জন্য এখনও সেঁতু নির্মানের কাজ শেষ হয়নি। কাজ টি শেষ করার জন্য এলাকা বাসী মন্ত্রীর মাধ্যমে প্রশাসনের নজরে আনার জন্য বললেও এখনও সমস্যার সমাধান হয় নি। মুরারই বিধানসভা তৃণমূল কর্মীদের একাংশ জানালেন মন্ত্রী এলাকার তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য কলকাতা বা মাড়্গ্রামের বাড়ি থেকে আসতেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুরারই বিধান সভা এলাকার তৃণমূল নেতা জানালেন, মন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করবার চেষ্টা করলেও উনি ফোন ধরেন না। নুরে আলম চৌধুরীর সঙ্গে এলাকাবাসীর অভিযোগ এবং মন্ত্রীত্ব চলে যাওয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু উনি ফোন ধরার পর কিছুক্ষণের মধ্যে ফোন কেটে দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

nure alam murarai
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE