ছিটে-ফোঁটা বৃষ্টিতেই এমন অবস্থা হয় সতীপীঠ নন্দিকেশ্বরী মন্দিরের সামনের রাস্তা।—নিজস্ব চিত্র।
নানা প্রয়োজনে জেলা এবং জেলার বাইরের বহু মানুষ বাণিজ্য শহর সাঁইথিয়ায় আসেন। উত্সব-অনুষ্ঠান ছাড়াও সতীপীঠ নন্দিকেশ্বরীতে প্রতিদিন বহু পুণ্যার্থী এখানে আসেন। সকলেরই ক্ষোভ রাস্তা নিয়ে। বিশেষ করে নন্দীকেশ্বরী মন্দিরের সামনের রাস্তা নিয়ে। দু-চার ফোঁটা বৃষ্টি হলেই মন্দিরে যাওয়ার-আসার রাস্তায়কারণ, গত দু’তিন দিনের টিপ টিপ বৃষ্টিতেই ওই রাস্তা জল জমে গিয়েছে। পুরপ্রধান বিপ্লব দত্ত সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “ওই রাস্তাটি সংস্কারের প্রয়োজন আছে।” তাঁর দাবি, “ইতি মধ্যেই চৌরাস্তা মোড় থেকে মন্দির ছাড়িয়ে আরও কিছুটা (১০০ মিটার মতো) রাস্তা সংস্কারের জন্য টেন্ডার করা হয়ে গিয়েছে। কংক্রিটের রাস্তা ও নিকাশির ব্যবস্থাও করা হয়েছে।”
মন্দিরের পুরোহিত ইন্দুভূষণ চক্রবর্তী, উজ্জ্বল ভট্টাচার্যরা বলেন, “সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার জল জমে যায়। ফলে সকলকেই ভোগান্তির পোহাতে হয়।” রবিবার পুজো দিতে আসা সাঁইথিয়ার বধূ বুলা মিত্র, টিঙ্কু মিত্র, সোমা দাস, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ঋতুপর্ণা দত্ত, ঝিলিক দত্তদের কথায়, “সামান্য বৃষ্টিতে মন্দিরের সামনে জমা নোংরা জল ডিঙিয়ে যাওয়া খুবই বিরক্তিকর।” প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে পর্যটন দফতর চৌরাস্তা থেকে মন্দির পর্যন্ত একটি ফুটপাথ তৈরি করেছে ঠিকই, কিন্তু তা প্রস্থে এতই ছোট, যে ওই পথ দিয়ে ঠিকমতো চলাচল করা যায় না। শহরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, রাস্তা সংস্কারের পাশাপাশি মন্দির চত্বরকে সুন্দর করে সাজানো হোক। ব্যবসায়ী তপন দলুই, বিপিন সাও, রাম-লক্ষ্মণ গুপ্তদের দাবি, “যে কোনও মূল্যে মন্দির চত্বরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও সাজানো হোক। তা হলে আরও অনেক বেশি পর্যটক এখানে আসবেন এবং এখানকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থা উন্নতি হবে।” পুরপ্রধান বলেন, “রাস্তাটি রেলের। তাই সংস্কারের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা ছিল। তবে শীঘ্রই সংস্কার করা হবে।”
বিদ্যুদয়ন। পিছিয়ে পড়া এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পে নলহাটির ভগবতীপুর এলাকায় ৫২টি বাড়িতে বিদ্যুত্ সংযোগ দিল জেলা গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন দফতর। জেলা প্রকল্প আধিকারিক প্রদীপ নাগ বলেন, “আগামী দিনে নলহাটি ১ এবং নলহাটি ২ পঞ্চায়েত সমিতির বেশ কিছু পিছিয়ে পড়া এলাকায় শীঘ্রই বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy