কারও পাকা বাড়ি, জমি জায়গা আছে। কারও স্ত্রী আবার সরকারি চাকরি করেন। এমনই বেশ কয়েকজনের নাম গীতাঞ্জলি প্রকল্পে বাড়ি প্রাপকদের তালিকায় উঠেছে। অথচ প্রকৃত প্রাপকেরা বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পঞ্চায়েত প্রধান মারফত্ বিডিও-র কাছে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন সাঁইথিয়ার দেড়িয়াপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। বিডিও জাহিদ সাহুদ বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন আগে দেড়িয়াপুর এলাকার গণস্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র প্রধান মারফত্ বিডিওকে দেওয়া হয়। ওই অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা প্রকৃত গরিব পরিবার পাচ্ছেন না। পাচ্ছেন মুষ্টিমেয় কয়েকজন সুবিধাভোগী লোক। অভিযোগকারী বংশীধর বিত্তার, মহম্মদ তুজামুদ্দিন, মাধব মাহারা, জয়দেব বায়েন, অধীর বাগদিরা বলেন, “আমাদের এলাকায় কয়েকজন ইন্দিরা গাঁধী আবাস যোজনায় গৃহ পেয়েছেন। আবার গীতাঞ্জলি প্রকল্পে ওই একই ব্যক্তি উপভোক্তা হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। ফলে তাঁরা অনুদান পেয়ে যাচ্ছেন। তাই সম্প্রতি পঞ্চায়েত প্রধান মারফত্ বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।” তাতে এলাকার ১৭৩ জন খেটে খাওয়া লোকজনের সই রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ দিকে, ওই অভিযোগপত্র হাতে পেয়ে পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষ্মী টুডু অবশ্য দাবি করেন, “গীতাঞ্জলি প্রকল্পে কে বা কারা বাড়ি পাওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছেন, কারা বেনিফিসিয়ারিতে নির্বাচিত হয়েছেন জানতামই না। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে সম্পূর্ণ আড়ালে রেখেই হয়েছে।” তিনি বলেন, “কী ভাবে গীতাঞ্জলি প্রকল্পে বাড়ি প্রাপকদের নামের তালিকা তৈরি হল, বেনিফিসিয়ারিতে কাদের নাম নির্বাচিত হয়েছে এই সব ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়ার পরে বিডিও-র কাছে অভিযোগপত্র পাঠানো হয়েছে। সরকারি প্রকল্পে স্বজনপোষন বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy