একশো দিন কাজের প্রকল্পে একটি পুকুরে মাটি কাটা পরিমাপ করতে যাওয়া পঞ্চায়েত কর্মীদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল সিপিএমের এক পঞ্চায়েত প্রধানের ভাই-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার হিড়বাঁধ ব্লকের মশিয়াড়া পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। বৃহস্পতিবার বিকেলে মশিয়াড়া পঞ্চায়েতের রোজগার সেবক সিরাজুল আলম ও অভিজিৎ রায়রা হিড়বাঁধের বিডিও-র কাছে লিখিতভাবে ওই পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধানের ভাই জগদীশ বাউরি-সহ কয়েকজনের নামে অভিযোগ জানিয়েছেন। একই ভাবে প্রধানের কাছেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা। বিডিও অভিযোগপত্রটি থানায় পাঠিয়ে দিয়ে পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন। পুলিশ জানায়, অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। কেউ শুক্রবার রাত পর্যন্ত কাউকে ধরা হয়নি।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন মশিয়াড়ার বাউরি বাঁধে ১০০ দিন প্রকল্পে মাটি কাটার পরিমাপ করতে গিয়েছিলেন ওই পঞ্চায়েতের কর্মী সিরাজুল আলম ও অভিজিৎ রায়। সেই সময় শ্রমিকদের একাংশের সঙ্গে মাপ নিয়ে বচসা হয় ওই পঞ্চায়েত কর্মীদের। অভিযোগ প্রধান অংশুমান বাউরির এক ভাই জগদীশ বাউরি, পশুপতি বাউরি-সহ কয়েকজন তাঁদেরকে মাপ বাড়ানোর জন্য আবদার করেন। তাঁদের সেই আবদার মানতে রাজি হননি ওই দুই কর্মী। এর পর তাঁদেরকে গালিগালাজ ও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাঁরা সেখান থেকে পঞ্চায়েতে পালিয়ে আসেন। পরে বিডিও-র কাছে অভিযোগ জমা দেন।
এ দিন চেষ্টা করেও অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। হিড়বাঁধের বিডিও শঙ্খশুভ্র দে’কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে ব্লকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মশিয়াড়া পঞ্চায়েতের দুই কর্মীর অভিযোগ পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ঘটনা যে একটা ঘটেছে সেকথা মেনে নিয়েছেন মশিয়াড়া পঞ্চায়েত প্রধান সিপিএমের অংশুমান বাউরি। তিনি বলেন, “ওই বাঁধের মাটি কাটার কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের তরফে আমার কাছে একটা অভিযোগ এসেছে। পঞ্চায়েত কর্মীরাও অভিযোগ করেছেন। ঠিক কী ঘটেছে তা জানার জন্য কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছি। শ্রমিকদেরকেও পঞ্চায়েত অফিসে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। আমার ভাই জগদীশ এবং অন্যদের কাছ থেকে না জেনে এর বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy