মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল থেকে ফোন গিয়েছিল চেন্নাইয়ের আন্না সালাই এলাকার গেস্ট হাউসে। জানানো হয়েছিল, ডাক্তার-টেকনিশিয়ান অনেকেই আসতে পারেননি। তাই ক্যানসার রোগীদের রেডিয়েশন বন্ধ থাকবে।
শুনে মাথায় যেন বাজ পড়েছিল কলকাতার সুমিত রায় মজুমদারের। গত দেড় মাস ওই গেস্ট হাউসেরই বাসিন্দা তাঁরা। চার বছরের একমাত্র সন্তানের ব্রেন টিউমার হয়েছে। রেডিয়েশন চলছে দেড় মাস। চলতি সপ্তাহের শুক্রবার রেডিয়েশন শেষ হওয়ার কথা। রবিবার কলকাতায় ফেরার টিকিটও কাটা রয়েছে। এ ভাবে মাঝপথে চিকিৎসায় ছেদ পড়লে কী করবেন তাঁরা?
প্রশ্নটা করেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তাঁদের জবাব, সোমবার মধ্যরাতে জয়ললিতার প্রয়াণের পর থেকে চেন্নাইয়ের রাস্তাঘাটে প্রায় কার্ফুর চেহারা। দোকানপাট তো বটেই, পেট্রোল পাম্পও বন্ধ। বহু ডাক্তার দূর থেকে গাড়িতে আসেন। তাঁরা পৌঁছতে পারেননি। তাই চাইলেও হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হচ্ছে না। বন্ধ থাকা এমন একাধিক পরিষেবার ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ কী হবে, তা জানাতে বুধবার সকালে রোগীর পরিজনদের ডেকেছেন ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।