বিমল গুরুঙ্গের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ জানান, রাজনাথই তাঁকে এ কথা বলেছেন।
বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, দার্জিলিং নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চিন্তিত। মাসখানেক ধরে চলা অশান্তি কবে, কী ভাবে থামবে, তা এখনও অস্পষ্ট। পাশাপাশি সিকিমের সঙ্গে যে যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে, তা নিয়েও চিন্তিত কেন্দ্র।
এই পরিস্থিতিতে এ দিন রাজনাথের সঙ্গে দেখা করে পাহাড় সম্পর্কে কথা বলেন রাহুল। তাঁর দাবি, রাজনাথ তাঁকে জানিয়েছেন, পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে রাজ্য ও মোর্চার মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়া জরুরি। এর আগেও মমতার সঙ্গে রাজনাথের কথা হয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, মমতা তখন বলেছিলেন, আলোচনায় গুরুঙ্গ আগ্রহী নন। রাহুল এ দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, মুখ্যমন্ত্রী মুখে এ কথা বললেও আলোচনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তিনি নিজেই তৈরি করেননি। এমন চলতে থাকলে দার্জিলিঙের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
রাহুলের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে তৃণমূলের বক্তব্য, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার বলছেন, আলোচনার পরিবেশ তৈরি। তবে আলোচনায় বসার আগে ওদের হিংসা ছাড়তে হবে।
আরও পড়ুন: গোয়েন্দারা দার্জিলিঙে পৌঁছলেও শুরু করা যায়নি তদন্তের কাজ
এর আগে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু মমতাই তা খারিজ করে দেন। কেন্দ্র এখন মনে করছে, শান্তির পরিবেশ ফেরাতে আগে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হোক। এরই মধ্যে গত সপ্তাহে বাড়তি দশ কোম্পানি আধা সেনা চেয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করে রাজ্য। এ দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে সবিস্তার রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত বাড়তি আধা সেনা পাঠানো নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। সম্প্রতি এই নিয়ে একটি মামলায় হাইকোর্ট কেন্দ্রকে বলেছে, বাহিনী পাঠানোর বিষয়টি তারা যেন সহানুভূতির সঙ্গে দেখে। তবু কেন্দ্র আবার স্টেটাস রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। তবে এর মধ্যে রাজনাথের সঙ্গে মমতার কথা হলে মন্ত্রকের অবস্থান পাল্টাতে পারে, মনে করছেন মন্ত্রক কর্তারা।
এই নিয়ে সরাসরি মুখ না খুললেও রাজ্য প্রশাসনের একাংশের দাবি, বাহিনী নিয়ে এই টানাপড়েনে পরোক্ষে উৎসাহ পাবে মোর্চাই। কেন্দ্রের দাবি, আগের চেয়ে দার্জিলিং অনেকটাই শান্ত। তাই রাজ্য কেন এত সেনা চাইছে, তার ব্যাখ্যা প্রয়োজন। রাজ্যের যুক্তি, আগে সমস্যা শুধু দার্জিলিঙে ছিল। এখন তা কার্শিয়াং, কালিম্পং, মিরিকেও ছড়িয়ে পড়েছে। তাই বাড়তি সেনার প্রয়োজন।
রাজনাথ-মমতা কথার পরে এই পরিস্থিতি ফের বদলে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy