n রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৫তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান চলছিল গত এক বছর ধরে। সোমবার তার শেষ হওয়ার দিনে বেলুড় মঠে ভিড় পুণ্যার্থীদের। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
মঠের মন্দিরে ভগবানের পুজো এবং মিশনের হাসপাতালে রোগীর সেবাকে এক দৃষ্টিতে দেখেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁর সেই আদর্শকে পাথেয় করে ১২৫ বছর আগে ১মে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল রামকৃষ্ণ মিশন। গত এক বছর ধরে সেই ১২৫ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান পালনের সমাপ্তি হল রবিবার।
১৮৯৭ সালের ১ মে বিকেলে বাগবাজারের বলরাম বসুর বাড়িতে রামকৃষ্ণদেবের গৃহী ভক্তদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। কারণ তাঁর উদ্দেশ্য ছিল একটি সমিতি গঠন করা। যার মাধ্যমে রামকৃষ্ণদেবের উদার ধর্মমতের প্রচার এবং মানুষ-ভগবানের বিভিন্ন ভাবে পুজো ও দরিদ্র মানুষের সেবা করাই ছিল মূল লক্ষ্য। ওই দিন রামকৃষ্ণ মিশন তৈরির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এবং ৫-মে তার উদ্দেশ্য, কার্যপ্রনালী, নিয়মাবলী সব প্রস্তুত হয়। এ দিন সেই বলরাম বসুর বাড়িতেই বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তব্য রাখার সময়ে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ বলেন, ‘‘আধুনিক ভারতের ইতিহাসে রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৫ বছর একটি মাইলফলক।’’ দেশ তথা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশনের ৩২১টি শাখা কেন্দ্র। গত বছরের ১মে থেকে শুরু হয়ে গোটা এক বছর ধরে ওই সমস্ত কেন্দ্রেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই এক বছর ধরে কী কী করা হয়েছে তা এ দিন তুলে ধরেন সহ সাধারণ সম্পাদক স্বামী বোধসরানন্দ।
মিশনের ১২৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। এ দিন সেগুলি অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয়। বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতার কথাও তুলে ধরা হয়। এ দিন সঙ্ঘাধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ উপস্থিত থাকতে না পারলেও অন্যান্য সহ সঙ্ঘাধ্যক্ষ, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন কেন্দ্রের অধ্যক্ষ, সম্পাদকেরা সহ সন্ন্যাসী, ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy