দু’দিন আগেও ছিল ঝুলপড়া, ধুলোয় ঢাকা ছাত্রী নিবাস। রাতারাতি ভোল বদলে ফেলা সেই ভবনেই শোনা গেল জনা পঁচিশ তরুণীর কলকলানি। পড়া মুখস্ত করার হাঁকডাক, মিঠে গলায় গানের কলি...। বারান্দার তারে মেলা জামাকাপড়। হেঁসেল থেকে ভেসে আসছে মুরগির মাংসের সুবাস। সব মিলিয়ে একেবারে ভরা সংসার।
‘খালি ডাল’ কী ভাবে ‘ফুলে ভরল’ সেই কারসাজি অজানা নয় কারও। ভাড়ার যন্ত্রপাতি এনে মেডিক্যাল কলেজের অপারেশন থিয়েটারকে ‘কনে সাজানো’র নজির আছে এ রাজ্যে। মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার (এমসিআই) অনুমোদন পেতে কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের সামনে এ হেন নাটক মঞ্চস্থ করে দেখিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। সেই কায়দাতেই এ বার ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (নাক) সামনে ছাত্রী জুটিয়ে বন্ধ হস্টেলকে চালু দেখানোর ঘটনা ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে।
মাস কয়েক আগে জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করেছিলেন রায়দিঘি কলেজ-সংলগ্ন ছাত্রী নিবাসটির। নামকরণ হয় ‘নিবেদিতা ছাত্রী নিবাস।’ ২০১১ সালে বাম জমানার শেষ দিকে হস্টেলের ভবন তৈরি শেষ হলেও নানা কারণে ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা শুরু হয়নি তারপরেও।