পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বিঘ্ন না ঘটানোর যুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর ‘পরীক্ষা পর চর্চা’ দেখানোর ব্যবস্থা করেনি রাজ্য। একই যুক্তিতে শহরের সিবিএসই বোর্ডের অধিকাংশ স্কুলও ওই বক্তৃতা দেখাল না। এ নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হল!
পরীক্ষা-ভীতি কাটাতে শুক্রবার দিল্লিতে পড়ুয়াদের পরামর্শ দেন নরেন্দ্র মোদী। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তরফে সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিবিএসই-এর তরফে প্রতিটি স্কুলকে ওই সম্প্রচার দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটাতে চান না। এ দিন সেই পথেই গিয়েছে অধিকাংশ স্কুল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর টাউন হলে বেসরকারি স্কুলগুলির সঙ্গে একটি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পড়ুয়াদের কোনও রাজনৈতিক নেতার বক্তব্য শোনানোর দরকার নেই। এমনকী তাঁর বক্তব্য শোনালেও তিনি আপত্ত করবেন বলে জানান।
৮ ফেব্রুয়ারি সিবিএসই বোর্ড জানায়, শুক্রবার পড়ুয়াদের ওই বক্তৃতা দেখাতে বা শোনাতে হবে। তার প্রমাণ হিসেবে ছবি ও ভিডিও-সহ একটি ফর্ম ভর্তি করে ১৭ ফেব্রুয়ারির আগে পাঠাতেও হবে। সিবিএসই-র একটি স্কুলের অধ্যক্ষা বলেন, ‘‘স্কুলে পরীক্ষা থাকলে কী করব।’’ অভিনব ভারতী স্কুলের অধ্যক্ষা শ্রাবণী সামন্ত বলেন, ‘‘পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা করা যায়নি।’’ গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের তরফেও একই কথা জানানো হয়েছে। তবে ভারতীয় বিদ্যাভবনের তরফে রেখা বৈশ্য বলেন, ‘‘পরীক্ষার জন্য সরাসরি সম্প্রচার দেখানো না গেলেও পরে রেকর্ডিং শোনানো হয়।’’ কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এগজামিনেশন বোর্ডের স্কুল অবশ্য জানায়, তারা কোনও নির্দেশ পায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy