Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Narendra Modi

পর্দায় কোচবিহার প্রাসাদ

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাংলার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ক্রমবর্ধমান একাত্মতার দিকটি নিয়ে সরব রাজনৈতিক শিবির।

কোচবিহারের রাজবাড়ি

কোচবিহারের রাজবাড়ি

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৩৫
Share: Save:

গত সপ্তাহে উজ়বেকিস্তানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে প্রেক্ষাপটে দেখা গিয়েছিল দক্ষিণেশ্বরের মন্দির। আর আজ শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পিছনের পর্দায় রইল কোচবিহারের রাজবাড়ির ছবি। বক্তৃতাও শুরু করলেন মোদী দু’টি বাংলা বাক্য বলে।

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাংলার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ক্রমবর্ধমান একাত্মতার দিকটি নিয়ে সরব রাজনৈতিক শিবির। তবে উজ়বেকিস্তানের সঙ্গে দক্ষিণেশ্বরের কূটনৈতিক সংযোগ খুঁজে না-পাওয়া গেলেও, কোচবিহারের রাজবাড়িকে বৈঠকের থিম করার পিছনে কূটনৈতিক সংযোগ আছে বলেই দাবি করছে বিজেপি শিবির। দিল্লি-ঢাকা সম্পর্কে কোচবিহার গুরুত্বপূর্ণ। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, স্থলসীমান্ত চুক্তির সময়ে যে সব ভূখণ্ড বিনিময় হয়েছিল, তার মধ্যে ভারতের দিকে সব চেয়ে বেশি ছিটমহল ছিল কোচবিহার জেলাতেই। তাঁদের মতে, আজ প্রধানমন্ত্রীর বাংলা বলা, রবীন্দ্রনাথের গানের সুর বেজে ওঠা এবং তাঁর পরিধানে বাঙালি পাঞ্জাবি—সবটাই বাংলাদেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক সংযোগের কূটনীতি।

তবে বিরোধীদের দাবি, কারণটা ঘরোয়া। কাল তৃণমূল নেত্রী উত্তরবঙ্গে জনসভায় ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের প্রসঙ্গ তুলে সেখানকার মানুষের কাছে উত্তর চেয়েছেন, সেখানকার ৮টি আসনের একটিও কেন তৃণমূল পেল না? রাজনৈতিক সূত্রের মতে, কোচবিহারের রাজবাড়ির ছবিটিকে আন্তর্জাতিক বৈঠকের মঞ্চে স্বীকৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বার্তা দিতে চাইছেন। বিজেপির দাবি, তৃণমূল সরকার কোচবিহারকে অবহেলা করে এসেছে— তাদের এই প্রচারের পালে হাওয়া দেবে আজ মোদীর দৃশ্য-বার্তা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE