• চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে বেহালার শঙ্কু ঘোষ একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ২০১১ সালে। মামলার রায় হয়েছে ছ’বছর পরে।
• প্রতারণার অভিযোগে এক প্রোমোটারের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে মামলা করেছিলেন ফুলবাগানের রবীন্দ্রনাথ বসু। সেই মামলার ফয়সালা হতে সময় লাগে চার বছর।
• চিকিৎসার গাফিলতিতে মায়ের মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগে ২০১২ সালে বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক। পাঁচ বছরেও সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি।
এই সমস্ত মামলাই হয়েছে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে। হাসপাতাল, চিকিৎসক, প্রোমোটার বা পর্যটন সংস্থার হাতে প্রতারিত হলে সুবিচার পেতে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়মিত বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মামলার নিষ্পত্তি হতে এত দেরি হচ্ছে যে, বিচার যেন পেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না— এমনই অভিযোগ বহু মানুষের। ভুক্তভোগী বহু মানুষ এই বিষয়ে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের কাছে নালিশ করেছেন।
ঠিক কোথায় সমস্যা হচ্ছে, তা জানতে ২৯ এপ্রিল বিভিন্ন ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মন্ত্রী সাধনবাবু। একই কারণে মে মাসে উত্তরবঙ্গের ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সাধনবাবু বলেন, ‘‘ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলার নিষ্পত্তি হতে এত দেরি হওয়ার কথা নয়। ঠিক কী কারণে ফয়সালা করতে বিলম্ব হচ্ছে, সেই বিষয়ে বিচারকদের সঙ্গে কথা বলব।’’
নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্ট পর্যন্ত সর্বত্রই বিচারক-বিচারপতির অভাব। প্রায় সব আদালতেই যে মামলার পাহাড় জমছে, এটা তার অন্যতম কারণ বলে আইন ও বিচার মহলের অভিমত। একই সমস্যা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতেও।
ক্রেতা সুরক্ষা দফতর সূত্রের খবর, গত চার বছরে কলকাতা ও শহরতলির জেলা ক্রেতা আদালতে মামলার সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। কিন্তু বিচারকের সংখ্যা বাড়েনি। প্রতিটি আদালতে রয়েছেন মাত্র তিন জন বিচারক। ওই দফতরের এক আধিকারিক জানান, প্রতিটি জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের যা পরিকাঠামো, তাতে বছরে কমবেশি ৩০০ মামলার নিষ্পত্তি করা যায়। কিন্তু গত চার বছরে কলকাতা এবং দুই ২৪ পরগনায় ফি-বছর গড়ে মামলার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় দেড় হাজার। মামলা বাড়লেও বিচারক বা বেঞ্চের সংখ্যা বাড়েনি। তাই সমস্যা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy