প্রতীকী ছবি।
বেতন বাড়ল না এক টাকাও। বদলে বাড়ল দু’দিন ছুটি। পার্শ্বশিক্ষকদের ঝুলিতে রাজ্য সরকারের এই ‘ভিক্ষা’র বিরুদ্ধে সরব শাসক দলের পার্শ্বশিক্ষকদের সংগঠনও। যদিও স্কুলশিক্ষা দফতরের যুক্তি, বেতনবৃদ্ধির বিষয়টি তাদের আওতায় পড়ে না।
মঙ্গলবার সর্বশিক্ষা মিশনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এক বছরে পার্শ্বশিক্ষকদের ক্যাজুয়াল লিভ ১২ থেকে বাড়িয়ে ১৪ করা হল। বেতন বৃদ্ধি নিয়ে সেখানে কোনও উচ্চবাচ্য নেই। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে অপমানজনক হিসেবেই দেখছেন পার্শ্বশিক্ষকরা। শাসক দলেরই সংগঠন, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল পার্শ্বশিক্ষক সমিতি হুমকি দিয়েছে, বাম জমানার মতো ফের আন্দোলনে নামবেন তাঁরা। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেই সমিতির সভাপতি গোপাল দেবনাথ বলেন, ‘‘দিদি (মুখ্যমন্ত্রী) রাজ্যের সব ধরনের মানুষকে ঢেলে ভরিয়ে দিচ্ছেন। যত বঞ্চনা আমাদের সঙ্গে। বেতন না বাড়িয়ে ছুটি ভিক্ষা দিয়ে আমাদের অপমান করা হল।’’
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির দাবি থেকে মুখ ঘোরাতে চাইছে সরকার। এটা অনুচিত।’’ সরব রাজ্য প্যারাটিচার কল্যাণ সমিতির সম্পাদক অভিজিৎ ভৌমিকও।
এ দিকে সর্বশিক্ষা মিশন সূত্রের খবর, পার্শ্বশিক্ষকদের বেতনের ৬০ শতাংশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার, বাকিটা দেয় রাজ্য। কিন্তু বেতনের কাঠামো ঠিক করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। তাই বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি নির্ভর করছে রাজ্যের উপরেই। সূত্রের খবর, রাজ্যে প্রাথমিক স্তরে মাসে ৫৯৫৪ এবং উচ্চপ্রাথমিক স্তরে ৮১৮৬ টাকা পান পার্শ্বশিক্ষকরা। পার্শ্বশিক্ষকদের অভিযোগ, একজন সাধারণ শিক্ষকের মতোই কাজ করতে হয় তাঁদের। অথচ শিক্ষকদের মতো সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পান না। মহিলারা চাইল্ড কেয়ার লিভ-ও পান না। স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বেতনবৃদ্ধির বিষয়টি স্কুলশিক্ষা দফতরের আওতায় পড়ে না। সরকার সিদ্ধান্ত নিলে দফতর সেই মতো কাজ করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy