Advertisement
০২ মে ২০২৪

ব্যস্ত মিঠুন ফের সময় চাইলেন ইডি-র কাছে

সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি জুনের মাঝামাঝি তাঁকে তলব করলেও তিনি এখনও হাজির হননি। আপাতত হাজিরা দিতে পারছেনও না বলে শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা-সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী। অভিনয়ের কাজে ব্যস্ততার কথা বলে প্রথম দফায় (১৯ জুন) এক মাস সময় চেয়েছিলেন রাজ্যসভার তৃণমূল সদস্য মিঠুন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৪ ০৩:৪১
Share: Save:

সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি জুনের মাঝামাঝি তাঁকে তলব করলেও তিনি এখনও হাজির হননি। আপাতত হাজিরা দিতে পারছেনও না বলে শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা-সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী।

অভিনয়ের কাজে ব্যস্ততার কথা বলে প্রথম দফায় (১৯ জুন) এক মাস সময় চেয়েছিলেন রাজ্যসভার তৃণমূল সদস্য মিঠুন। এ বারেও হাজির হতে না-পারার কারণ হিসেবে বিদেশে শু্যটিংয়ে ব্যস্ত থাকার কথাই জানানো হয়েছে। শুক্রবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে হাজির হয়ে তদন্তকারীদের এ কথা জানান মিঠুনের আইনজীবী বিমান সরকার। একই সঙ্গে তিনি জানান, হাজিরা দেওয়ার জন্য তাঁর মক্কেল আরও সময় চেয়েছেন।

সারদা তদন্তে নেমে ইডি-র তদন্তকারীরা ওই সংস্থার মিডিয়া বা সংবাদমাধ্যম শাখার কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখতে শুরু করেন। একটি সূত্রের খবর, সারদার একটি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মিঠুন। তার বিনিময়ে ওই সাংসদ কত টাকা পেয়েছেন কিংবা সেই অনুষ্ঠানের বাণিজ্যিক বিষয় সম্পর্কে জানতে জুনের মাঝামাঝি মিঠুনের মুম্বইয়ের ঠিকানায় নোটিস পাঠায় ইডি। তাতে ১৯ জুন তাঁকে ইডি-র দিল্লি বা কলকাতার দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু মিঠুন অভিনয়ের কাজে ব্যস্ত থাকায় আইনজীবী মারফত ইডি-র কাছে এক মাস সময় চান ওই তারিখেই। সেই অনুযায়ী ১৯ জুলাইয়ের পরে তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা। কিন্তু এ দিন মিঠুনের কৌঁসুলি বিমানবাবু ফের ইডি-র দফতরে গিয়ে তাঁর মক্কেলের হাজিরা বিলম্বিত হওয়ার কথা জানান। পরে বিমানবাবু জানান, মিঠুন এখন জর্জিয়ায় শুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত আছেন। ২৫ জুলাই দেশে ফিরবেন। তার পরে তিনি ইডি-র দফতরে হাজির হবেন।

সারদার মতোই বেসরকারি লগ্নি সংস্থা আইকোর-এর লগ্নিকারীদের টাকা ফেরানোর মামলাটি এ দিন কলকাতা হাইকোর্টে ওঠে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ আর ওড়িশায় একসঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। হাইকোর্ট নির্দেশ দিলে আইকোরের টাকা নয়ছয় সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তও তারা একসঙ্গে ওই দুই রাজ্যে করতে রাজি আছে বলে সিবিআইয়ের আইনজীবী জাফর আলি এ দিন হাইকোর্টে জানান।

হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এর আগে লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বলেছিলেন, সারদার তছরুপের ক্ষেত্রে সিবিআই তো ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ দুই জায়গাতেই একসঙ্গে তদন্ত করছে। তা হলে আইকোরের বেলায় সেটা করা যাবে না কেন? সিবিআইয়ের আইনজীবী জাফর এ দিন জানান, এখন আইকোরের আমানতকারীদের টাকা ফেরত না-পাওয়ার মামলায় তাঁদের তদন্ত চলছে শুধু ওড়িশায়। হাইকোর্ট অনুমতি দিলে তাঁরা ওড়িশার সঙ্গে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গেও ওই সংস্থার বিরুদ্ধে একযোগে তদন্ত শুরু করতে রাজি আছেন। বিচারপতি নির্দেশ দেন, সিবিআই-কে হলফনামা দিয়ে এই বক্তব্য জানাতে হবে।

আদালত সারদার মতো ৪৩টি বেসরকারি অর্থ লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে বলেছিল। আইকোর-ও ছিল সেই সব সংস্থার মধ্যে। এর আগে আইকোরের তরফে হাইকোর্টে বলা হয়েছিল, তারা তাদের সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিয়ে দিতে চায়। উচ্চ আদালত সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। তাদের বক্তব্য ছিল, আইকোরের কত সম্পত্তি আছে, কোনও একটি সংস্থা তদন্ত করে তা নির্ধারণ করুক এবং তার বাজারদরও খতিয়ে দেখুক। হাইকোর্ট পুরো বিষয়টির তদন্তের দায়িত্ব সিবিআই-কেই দিতে চায়। সেই সঙ্গে সেবি এবং ইডি-কেও এই তদন্তে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

saradha scam mithun chakraborty ED
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE