স্কুলের পোশাক কিনতে ভিড় বাঁকুড়ার বাজারে। —নিজস্ব চিত্র।
করোনার কারণে প্রায় দু’বছর ধরে বন্ধ স্কুল। বুধবার থেকে পুরোদমে খুলে যাচ্ছে স্কুল। অথচ গত দু’বছরে ছোট হয়ে গিয়েছে স্কুলের পোশাক। তাই মঙ্গলবার জামাকাপড়ের দোকানে দেখা গেল অভিভাবকদের ভিড়।
রাজ্যের অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা ক্লাসরুমে ফিরেছে আগেই। বুধবার থেকে স্কুলমুখী হতে চলেছে প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ারাও। সোমবার সরকারি নির্দেশ মিলতেই রাজ্যের সব স্কুলই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এত দিন পর স্কুল চালু হওয়ার খবরে খুশি পড়ুয়ারাও। কিন্তু অধিকাংশ অভিভাবকই সমস্যায় পড়েছেন স্কুলের পোশাক নিয়ে।
অনলাইন ক্লাসে পড়ুয়াদের স্কুলের পোশাক বাধ্যতামূলক ছিল না। ‘পাড়ায় পাঠশালা’ কর্মসূচিতেও পোশাকের উপর উপর কোনও বিধিনিষেধ ছিল না। আবার প্রায় দু’বছর স্কুল বন্ধ থাকায় অধিকাংশ পড়ুয়ার পুরনো পোশাক গায়ে আঁটছে না। অনেকের পোশাক আবার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বাঁকুড়ার মিনি মার্কেট এলাকার প্রতিটি জামাকাপড়ের দোকানেই ক্রেতাদের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে।
স্কুলের পোশাক কিনতে আসা পিঙ্কি কর্মকার নামে এমনই এক অভিভাবকের কথায়, ‘‘এক একটি স্কুলের পোশাক পাওয়া যায় শহরের একটি বা দু’টি দোকানে। অন্য দোকানে সেই পোশাক পাওয়া যায় না। এক দিনে এত সংখ্যক পড়ুয়ার পোশাক প্রয়োজন হয়ে পড়ায় সমস্যা হয়েছে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আমি পেয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy