অনলাইন গেমের ছুতোয় ছুটে আসছে বিপজ্জনক ‘ব্লু হোয়েল’ বা নীল তিমি। স্কুলের শৌচাগারে ওত পাতছে স্কুলেরই কর্মী বা বাসকর্মীর যৌনবিকৃতি। আবার ক্লাসঘর থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের আশেপাশে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার বিপদ বহন করে বংশ বিস্তার করে চলেছে মশা।
এত সব হাঁ-মুখ বিপদ থেকে থেকে ছোটদের বাঁচাবে কে? সুরক্ষার পথ খুঁজতে স্কুলে স্কুলে কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর।
শুধু শিক্ষক বা অভিভাবকই নয়, কমিটিতে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিদেরও রাখতে বলা হয়েছে সেই কমিটিতে। সম্প্রতি স্কুলশিক্ষা দফতর থেকে সব জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে এই মর্মে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, স্কুলে পডুয়াদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে পৃথক কমিটি গড়তে হবে। প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষককে কমিটির চেয়ারম্যান করে দু’জন অভিভাবক-প্রতিনিধি, এক জন শিক্ষিকা (স্কুলে যদি কোনও শিক্ষিকা না-থাকেন তবেই শিক্ষককে নেওয়া যাবে) এবং পুলিশ বা স্বাস্থ্য দফতর কিংবা দমকলের প্রতিনিধিদের নিয়ে পাঁচ সদস্যের ‘সেফটি সিকিওরিটি মনিটরিং কমিটি’ গড়তে হবে। উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের কমিটিতে রাখতে হবে স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতিকেও।