দিল্লি-কলকাতা উড়ানে ৮৮ বছরের অজিত মিত্রের আসন বদলে দিয়েছিল ইন্ডিগো। তার জন্য অজিতবাবুর যে অসুবিধা হয়েছিল, সে-কথা ফেসবুকে তুলে দেন অজিতবাবুর নাতনি রাই সেনগুপ্ত। তার পরে অজিতবাবুকে বিনা পয়সায় তাদের বিমানে এক বার সফরের টিকিট পাঠিয়েছে ইন্ডিগো। ফোন করে ক্ষমাও চেয়েছে।
রাইয়ের পোস্ট দেখে ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ দেন অনেকে। কেউ বলেন, ‘‘লজ্জাজনক।’’ কেউ বলেন, ‘আর ইন্ডিগোয় চড়ব না।’’ সেই পোস্টে ‘লাইক’ পড়ে দু’হাজারেরও বেশি। শেয়ার করেন ১৩৬৫ জন। প্রশ্ন উঠছে, সোশ্যাল মিডিয়ার চাপেই কি উড়ান সংস্থা ক্ষোভ প্রশমনের রাস্তা নিয়ে ওই যাত্রীকে টিকিট পাঠাল?
মানতে নারাজ ইন্ডিগো। যদিও ৫ মার্চের ওই ঘটনা নিয়ে রাই ফেসবুকে পোস্ট করার পরে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের স্রোত শুরু হতেই ইন্ডিগো নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে রাইয়ের ওয়ালে যোগাযোগ করে। তারা জানায়, ৫ মার্চ যে-বিমানে অজিতবাবু ছিলেন, তার প্রথম সারির আসনের পাশেই ইমার্জেন্সি জানলা। বিমান পরিবহণের নিয়ম অনুযায়ী অশক্ত বৃদ্ধবৃদ্ধাদের ওই সারিতে বসতে দেওয়া হয় না। কেননা জরুরি অবস্থায় ওই ইমার্জেন্সি জানলা দিয়ে যাত্রীদের বার করার ক্ষেত্রে বৃদ্ধবৃদ্ধারা সাহায্য করতে পারবেন না।