শান্তি প্রসাদ সিংহ।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় জামিনের আর্জি খারিজ হল শান্তিপ্রসাদ সিংহের। ৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকবেন তিনি। গ্রুপ সি নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার দুই মিডলম্যান প্রসন্ন রায় এবং প্রদীপ সিংহকেও ওই দিন পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত।
শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার আদালতকে সিবিআই জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া দুই মিডলম্যান প্রসন্ন এবং প্রদীপের কম্পিউটারে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা খুঁজে পেয়েছে তারা। এই দু’জনের সঙ্গে শান্তিপ্রসাদের যোগাযোগের কথা আগেই জানতে পেরেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তাঁদের ধারণা, এই তালিকা থেকেই যোগ্য প্রার্থীদের নাম যেত এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদের কাছে। নগদের বিনিময়ে পাওয়া যেত চাকরিও। তবে লেনদেনের দায়িত্বে থাকতেন দুই মিডলম্যানই। বৃহস্পতিবার শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে চেয়ে সিবিআইয়ের এই যুক্তি শোনার পর এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির সদস্যের জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে শান্তিপ্রসাদকে গত ১০ অগস্ট গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে ৯ সেপ্টেম্বর আবার তাঁকে সিবিআই হেফাজতে নেয়। তার পর থেকে নিজাম প্যালেসেই ছিলেন শান্তিপ্রসাদ। বৃহস্পতিবার তাঁর হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁকে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয়। সূত্রের খবর, গ্রুপ সি নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়া দুই মিডলম্যান প্রসন্ন এবং প্রদীপের সঙ্গে শান্তিপ্রসাদকেও জেরা করা দরকার বলে আদালতে আর্জি জানিয়েছিল সিবিআই ।
উল্লেখ্য, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে। গ্রুপ সি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। নিয়োগ সংক্রান্ত যে উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করেছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তার চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছিল শান্তিপ্রসাদকে। অভিযোগ, তাঁর আমলেই মূলত নিয়োগ দুর্নীতি হয়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই যে এফআইআর দায়ের করেছিল তাতেও প্রথম শান্তিপ্রসাদের নাম ছিল বলে সূত্রের খবর। শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী এবং সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলাতেও বারবার তাঁর নাম উঠে এসেছে। এমনকি, তাঁর রিজেন্ট পার্কের বাড়িতে বেশ কয়েক বার তল্লাশিও চালিয়েছে ইডি এবং সিবিআইয়ের আলাদা আলাদা দল।
তবে সিবিআই গত ১৭ সেপ্টেম্বর শান্তিপ্রসাদের হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি করার আবেদন জানালে, আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় সংস্থাটিকে। আদালত জানতে চায় এক মাসের বেশি সময় ধরে হেফাজতে নেওয়ার পরও কেন সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ বাড়াতে চাইছে। জবাবে সিবিআই আদালতকে বলে শান্তিপ্রসাদ তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। তাই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy