চাপানউতোরের রাজনীতিতে এ বার ঝড় তুললেন দুই মহিলা। কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা গাঁধী ও বিজেপির স্মৃতি ইরানি। এই মুহূর্তে অবশ্য দু’জনই দেশের দুই প্রান্তে। প্রিয়ঙ্কা মায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র উত্তরপ্রদেশের রায় বরেলীতে। আর কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি আজ ছিলেন মেদিনীপুরে। দু’জনের তরজায় এ দিন উত্তপ্ত হয়েছে রাজনীতির হাওয়া।
লোকসভা ভোটে হেরে গিয়েও বার বার অমেঠীতে গিয়ে নেহরু-গাঁধী পরিবারকে নিশানা করছিলেন স্মৃতি। তা আরও বেড়ে যায় রাহুল গাঁধী নতুন করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নামায়। কয়েক দিন ধরেই রাহুলের সঙ্গে তাঁর তরজা চলছিল। গত কালই অমেঠীতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অভিযোগ আনেন, বছরের পর বছর এই এলাকার প্রতিনিধিত্ব করলেও অমেঠী-রায় বরেলীর কোনও উন্নয়নই করেনি গাঁধী পরিবার। এর পরেই আসরে নামেন প্রিয়ঙ্কা। বুধবার সনিয়ার কেন্দ্র রায় বরেলীতে পৌঁছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর দিকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘স্মৃতি ইরানি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। প্রথমেই ওঁকে জবাব দিতে হবে, রায় বরেলীতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি হচ্ছে না কেন?’’ এই প্রতিষ্ঠান না হওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে বলেই স্মৃতির কোর্টে বল ঠেলে দেন প্রিয়ঙ্কা।
পাল্টা জবাব দিয়েছেন স্মৃতিও। প্রিয়ঙ্কাকে নিশানা করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘উনি খোঁজখবর না করেই কথাবার্তা বলেন। ইলাহাবাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি-র অব ক্যাম্পাস অমেঠীতে রয়েছে।’’ এর পরেই তাঁর কটাক্ষ, ‘‘এই প্রথম এক জন জয়ী প্রার্থী (অমেঠীর সাংসদ রাহুল গাঁধী) এক জন পরাজিত প্রার্থীকে উন্নয়নের জন্য বলছেন!”
বুধবার মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর হলে মোদী সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক সভায় যোগ দেন স্মৃতি। কিন্তু মেদিনীপুরে বসেই জমিয়ে দেন আমেঠীর লড়াই। প্রিয়ঙ্কার মাঠে নামা নিয়ে তাঁর মন্তব্য , “রাহুল গাঁধীর কি নিজের এলাকায় প্রতিরোধ গড়ার ক্ষমতা নেই! সে জন্যই কি তিনি অন্য ‘অস্ত্র’-র প্রয়োজন বোধ করছেন!” স্মৃতির দাবি, “আগেই বলেছিলাম, অমেঠীর মানুষ গাঁধী পরিবারের থেকে আমাকেই বেশি পাবে। সেটাই হচ্ছে।’’
রায়বরেলীর যুব সমাজের প্রতি স্মৃতি ইরানির দায়বদ্ধতা নেই বলে বুধবার অভিযোগ করেছেন প্রিয়ঙ্কা। এ দিনই স্মৃতির জবাব, ‘‘কালই অমেঠীতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনায় ২৫ হাজার মানুষের প্রথম বছরের প্রিমিয়াম নিজের পকেট থেকে দিয়েছি। কখনও শুনেছেন, গাঁধী পরিবারের কেউ এটা করেছেন!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy