উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে এ দিন বাগডোগরা বিমান বন্দরে অনেক ক্ষণ কথা বললেন এনবিএসটিসি-র নতুন চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। এনবিএসটিসি পরিচালনার ক্ষেত্রে কী ভাবে কাজ করা দরকার, সে ব্যাপারে দুই জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তিন বছরের বেশি সময় ধরে এনবিএসটিসি চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর। এ দিন কলকাতা রওনা হওয়ার আগে সেই মতো উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌরভবাবুকে জরুরি কিছু পরামর্শ দেন। আর্থিক আয়, ব্যয়ের কোথায় কী ঘাটতি রয়েছে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য দেন। ঠিক হয়েছে মন্ত্রী কলকাতা থেকে ফেরার পর সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে নিয়ে বৈঠক ডাকা হবে। ওই বৈঠকে গৌতমবাবুও থাকবেন। তা ছাড়া, নতুন বাস পরিষেবা যেগুলি চালু হয়েছে বা হবে সেগুলির উপর যে গুরুত্ব দেওয়া দরকার, সে ব্যাপারেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, ‘‘সৌরভের সঙ্গে এনবিএসটিসি’র বিষয় নিয়েই কিছু কথা হয়েছে। সংস্থাকে আরও ভাল জায়গায় নিতে কী করণীয় সেটাই মূল উদ্দেশ্য। আমি ফিরে এলে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে নিয়ে নতুন চেয়ারম্যান বৈঠক করবেন। সেখানে আমাকেও থাকতে বলেছেন। আমি সব রকম ভাবেই সাহায্য করব।’’
আজ, বৃহস্পতিবার সৌরভবাবু সংস্থার দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। সৌরভবাবু বলেন, ‘‘সংস্থার কী হাল তা গৌতমবাবুর কাছ থেকে জেনে নিয়ে কাজ শুরু করব। গৌতমবাবুর আশীর্বাদ নিয়েই কাল দায়িত্ব নেব। ওঁর তো বটেই, সকলের পরামর্শ নিয়েই চলব।’’
নতুন চেয়ারম্যানের নিয়োগের পরেও সংস্থার কর্মীদের একাংশের মধ্যে অবশ্য সংস্থার হাল ফেরানো নিয়ে সংশয় কাটছে না। তাঁদের দাবি, নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁকে এক বছরের মাথায় সরিয়ে দিয়ে রাজ্য সরকার দায়িত্ব তুলে দেয় মন্ত্রী গৌতম দেবের হাতে। তাঁরা দায়িত্ব নেওয়ার পর একইরকম ভাবে আশার কথাও শুনিয়েছিলেন। সরকারি বরাদ্দ নির্ভরতা কমিয়ে স্বাবলম্বী হওয়া, কর্মী অফিসারদের নিয়মিত পুরো বেতন দেওয়া, বদলি নীতি থেকে শুরু করে খরচ কমানোর মতো কড়া সিদ্ধান্ত সৌরভবাবু কতটা নিতে পারবেন, তা সময় বলবে। সেই সঙ্গে সংস্থার হাতে থাকা প্রচুর সম্পত্তি, জমির সঠিক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়ে থাকলেও আখেরে তা কবে বাস্তবায়িত হবে, তা-ও ঠিক করতে হবে নতুন চেয়ারম্যানকেই। সাবধানী সৌরভবাবুর দাবি, “রাতারাতি সব কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। আগের দুইজন চেষ্টা করেছেন। কাজ হয়েছে। এখন সরকারের চার বছর কেটে গিয়েছে। এই সময় কাজের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধে হবে। ফলে পরিস্থিতি পাল্টে যাবে।”