Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Abdul Mannan

ইস্তফার ‘ত্র‌ুটি’ শুধরে মান্নানের ঘরে শুভেন্দু

বিধানসভায় নিজে এসেই গত সপ্তাহে বিধায়ক-পদ থেকে ইস্তফার চিঠি সচিবের কাছে জমা দিয়েছিলেন শুভেন্দু।

আব্দুল মান্নানের কাছে শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বিধানসভায়। নিজস্ব চিত্র

আব্দুল মান্নানের কাছে শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বিধানসভায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৫৫
Share: Save:

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তৃণমূলের বিধায়ক-পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হল। বিধানসভায় এসে সোমবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে নিজের ইস্তফার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিলেন শুভেন্দু। স্পিকারও সেই ব্যাখ্যায় ‘সন্তুষ্ট’। পদত্যাগের পর্ব মিটিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের ঘরে অনেকটা সময় কাটিয়ে গিয়েছেন শুভেন্দু।

বিধানসভায় নিজে এসেই গত সপ্তাহে বিধায়ক-পদ থেকে ইস্তফার চিঠি সচিবের কাছে জমা দিয়েছিলেন শুভেন্দু। স্পিকার সে দিন বিধানসভায় ছিলেন না। তাঁকে পদত্যাগপত্র পাঠানো হয়েছিল ই-মেলে। দুই চিঠির মধ্যে কিছু অসঙ্গতির কথা উল্লেখ করে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে এ দিন দেখা করতে বলেছিলেন স্পিকার। বিধানসভায় সেই আলোচনার পরে এ দিন শুভেন্দু বলেন, ‘‘স্পিকার জানতে চেয়েছিলেন, পদত্যাগের চিঠি আমি নিজে লিখেছি কি না, কেউ আমাকে দিয়ে চাপ দিয়ে লিখিয়েছে কি না। আমি বলেছি, আমি স্বেচ্ছায় নিজের হাতে চিঠি লিখে হস্তাক্ষর করে জমা দিয়েছি। স্পিকার তা মেনে নিয়েছেন।’’ স্পিকার বিমানবাবুও জানিয়েছেন, শুভেন্দুর পদত্যাগ গৃহীত হয়েছে।

স্পিকারের ঘর থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু এ দিন বিরোধী দলনেতা মান্নানের ঘরে গিয়ে বসেন। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য নির্ধারিত সময় আসার আগে মাঝের সময়টা তিনি ওই ঘরেই কাটিয়েছেন। পরে সেই ঘরে আসেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীও। সকলেই এই মোলাকাতকে ‘সৌজন্যমূলক’ আখ্যা দিলেও বর্তমান ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষিতে এই ঘরোয়া বৈঠক রাজনৈতিক শিবিরের নজর কেড়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা রাজনীতিতে শুভেন্দু ছিলেন তৎকালীন সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠের প্রবল বিরোধী। বিজেপি ঘুরে সেই লক্ষ্মণবাবু যখন কংগ্রেসে আসেন, তার তীব্র বিরোধিতা করেছেন মান্নান এবং শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও পুরনো। এই সূত্রেই এ দিন বেশ কিছু ক্ষণ আলোচনা চলে বিরোধী নেতার ঘরে। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘বহু বছর আগে থেকে আমাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক। এখানে রাজনীতির কথা বলতে আসিনি।’’

পরে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ফের চিঠি দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সাজানো’ হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আজ, মঙ্গলবার কেতুগ্রাম যাচ্ছেন তিনি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে গেরুয়া মঞ্চে এটাই শুভেন্দুর প্রথম কর্মসূচি।

তৃণমূলের আর এক ‘বেসুর’ নেতা ও মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আবার এ দিনই দীর্ঘ বৈঠক করেছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। দু’জনের আগের দিনের বৈঠক সম্পর্কে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোভাবের কথা পার্থবাবু রাজীবকে জানিয়েছেন। ঘনিষ্ঠ মহলে রাজীব বলেছেন, তাঁর বক্তব্য নিয়ে দলের শীর্ষ স্তরে আলোচনা হচ্ছে মানে তাকে ‘ইতিবাচক’ বলেই ধরতে হবে। বৈঠক সেরে বেরিয়ে রাজীবের মন্তব্য, ‘‘আমি তৃণমূলের কর্মী। দলের নেতা এবং দাদা হিসেবে পার্থদা ডেকেছিলেন। কথা বলতে এসেছিলাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Abdul Mannan Suvendu Adhikari BJP TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE