Advertisement
১৮ মে ২০২৪

মোদীর বিরুদ্ধে ধর্মঘটে পরখ করা হবে দিদিকে

নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর পরে আসন্ন সাধারণ ধর্মঘটকেই প্রথম বড় কর্মসূচি হিসাবে হাতে নিয়েছে বামেরা। সেই ধর্মঘটকে ঘিরেই এ বার তৃণমূল নেত্রীর বিজেপি-বিরোধিতা কতটা খাঁটি, যাচাই করতে চাইছেন বাম নেতৃত্ব!

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৬ ০৩:১৫
Share: Save:

নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর পরে আসন্ন সাধারণ ধর্মঘটকেই প্রথম বড় কর্মসূচি হিসাবে হাতে নিয়েছে বামেরা। সেই ধর্মঘটকে ঘিরেই এ বার তৃণমূল নেত্রীর বিজেপি-বিরোধিতা কতটা খাঁটি, যাচাই করতে চাইছেন বাম নেতৃত্ব!

কেন্দ্রের আর্থিক নীতির বিরুদ্ধে ২ সেপ্টেম্বর দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে প্রায় সব কেন্দ্রীয় ইউনিয়ন। পরিচিত শ্রমিক সংগঠনগুলির মধ্যে সঙ্ঘ পরিবারের বিএমএস এবং তৃণমূলের আইএনটিটিইউসি এই ধর্মঘটে নেই। তার উপরে রাজ্যে ধর্মঘট না করতে দেওয়াই মমতা সরকারের নীতি। এই সূত্রেই বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বুধবার বলেছেন, ‘‘আমাদের ধর্মঘট মোদী সরকারের নীতির বিরুদ্ধে। রাজ্য সরকারকে ঠিক করতে হবে, তারা এর পক্ষে থাকবে না বিপক্ষে। মুখে তো ওঁরা বিজেপি-র বিরুদ্ধে অনেক কথা বলছেন। দু’দলে যুক্তি করে নিয়ে অনেক কিছু হচ্ছে। এখন দেখা যাবে!’’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রেরও যুক্তি, বিধানসভা ভোটের পরে ধর্মঘটকে ঘিরেই বিরোধীরা এক দিকে যেমন প্রথম সরকারের সঙ্গে বড় সংঘাতের পথে যাবে, তেমনই রাজনৈতিক ভাবে শাসক দলের অবস্থানও স্পষ্ট করে দেওয়া যাবে।

দিল্লি গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা যে দিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠক করছেন, সে দিনই কলকাতায় প্রথমে বামফ্রন্ট এবং পরে ফ্রন্টের বাইরে অন্য সহযোগী দলগুলির সঙ্গে ধর্মঘটের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন বিমানবাবু। ঠিক হয়েছে, ৪ থেকে ১০ অগস্ট ২০টা জেলায় স্থানীয় ভাবে ধর্মঘটের প্রচার হবে। শহরাঞ্চলের হাটে-বাজারে এবং অন্যত্র ২৩ অগস্ট ১৭টি দল মিলে দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অবস্থান চলবে ধর্মঘটের সমর্থনে। এর পরে ৩১ অগস্ট খাদ্য আন্দোলনের ‘শহিদ দিবসে’ উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা থেকে দু’টি মিছিল এসে মিলবে রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে। সেখানে হবে সমাবেশ।

কংগ্রেস-প্রভাবিত আইএনটিইউসি ধর্মঘটে সামিল হচ্ছে। গত বার ধর্মঘটের আগে মিছিলে আইএনটিইউসি যোগ দিয়েছিল। বিমানবাবু অবশ্য এ দিন বলেছেন, বামফ্রন্ট বা ১৭ দলের তরফে তাঁরা আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসকে ৩১ অগস্টের মিছিলের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন না। যদিও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যবাবু শ্রমিক সংগঠনের ধর্মঘটকে সমর্থন করার জন্য কংগ্রেসের কাছে আগেই আহ্বান জানিয়েছেন। বাম শরিকেরাও এ দিনের বৈঠকে কংগ্রেস-প্রশ্নে নতুন আপত্তি তোলেনি। এক শরিক নেতার কথায়, ‘‘ট্রেড ইউনিয়ন হিসাবে আইএনটিইউসি তো আগেও ধর্মঘটে এবং প্রচারে এসেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE