Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Kazi Nazrul University

ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার, কর্মীদের তালাবন্ধ করে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের

গভীর রাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে আটকে থাকতে বাধ্য হন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা।

বিক্ষোভে পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে।

বিক্ষোভে পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২১ ০০:০৭
Share: Save:

এনরোলমেন্ট ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। রেজিস্ট্রার ও কর্মীদের আটকে রেখে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। বিক্ষোভকারীদের হাতে কোনও ঝান্ডা না থাকলেও তাঁরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থক পড়ুয়া বলেই পরিচিত। রেজিস্ট্রার -সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের

করোনা পরিস্থিতির পরেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অস্বাভাবিক হারে ফি বৃদ্ধি করেছে এই অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছিলেন পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। সকাল থেকে শ’য়ে শ’য়ে পড়ুয়া জড়ো হয় কেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের সামনে। তাঁদের দাবি ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি কমাতে হবে এবং উপাচার্যকে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে।

কিন্তু বিকেল পর্যন্ত সমাধান না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যলয়ের ভেতরে থাকা কর্মীদের বাইরে থেকে তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়। গভীর রাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে আটকে থাকতে বাধ্য হন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা। কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের দাবিতে কর্ণপাত না করায় তাঁরা উত্তেজিত হয়ে পডে়ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের গেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করে পড়ুয়ারা। প্রবল চাপে তালা ভেঙে যায়। এর পর পড়ুয়ারা প্রশাসনিক ভবনের বাইরের গেটে তালা দিয়ে দেন। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকে। রাত ১২টা নাগাদ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ ওঠেনি।

ছাত্র নেতা শিলাদিত্য রায় বলেন, ‘‘প্রতি পেপারে ১০০ টাকা করে এনরোলমেন্ট ফি নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ এক জন পড়ুয়াকে তিন বছরে ২ হাজার ৬০০ টাকা এনরোলমেন্ট ফি দিতে হবে। ৭০০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি। এই বিপুল ফি বৃদ্ধি আমরা মানব না।’’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রঞ্জিত বিশ্বাস বলেন, ‘‘২০১৯-’২০ শিক্ষাবর্ষেই সিদ্ধান্ত হয়, এবং অ্যাকাডেমিক এনরোলমেন্ট ফি ধার্য করা হয়। লকডাউনের জন্য তা কার্যকর হয়নি। এবার ’২০-’২১ থেকে সেটা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত হয়েছিল সর্বসম্মতিক্রমে। এখন ওঁরা আপত্তি তুলছেন। ওঁরা উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন।’’ তিনি জানান, উপাচার্য কলকাতায় রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে কথা পড়ুয়াদের কথা বলানোর চেষ্টা চলছে।

কিন্তু তা না হওয়ায় রাত পর্যন্ত পড়ুয়ারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ এসেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি। ভিতরে ১০ জনের মতো শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী আটকে রয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Asansol TMCP Kazi Nazrul University
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE