বারংবার সতর্কীকরণের মুখে পড়তে হচ্ছে স্কুল পড়ুয়াদের। প্রতীকী ছবি।
সমন্বয়ের ঘাটতি সরকারি দফতরেই। তার জন্য বারংবার সতর্কীকরণের মুখে পড়তে হচ্ছে স্কুল পড়ুয়াদের।
প্রশাসনিক সমন্বয়ের অভাবে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে দ্বাদশ শ্রেণির বেশ কিছু পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার টাকা দু’বার জমা পড়েছিল বলে অভিযোগ। সেই বিষয়ে বিতর্ক হয়েছে বিস্তর। কিন্তু দফতরের ভুল শোধরানোর বদলে প্রথমে ওই স্তরের সব ছাত্রছাত্রীকে এক দফা সতর্ক করে নবান্ন নির্দেশ দিয়েছিল, যাদের অ্যাকাউন্টে দু’বার টাকা ঢুকেছে, তাদের এক বারের টাকা ফেরত দিতে হবে। একই বিষয়ে এ বার নয়া ফরমান জারি করে কারিগরি শিক্ষা দফতর বলেছে, ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে ‘ভোকেশনাল ট্রেনিং’ বা বৃত্তিশিক্ষার কোনও পড়ুয়াই ট্যাবের জন্য বাংলার শিক্ষা পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করাতে পারবে না। রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতরের বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ আধিকারিক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন, তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে আর্থিক অনুদানের জন্য বৃত্তিশিক্ষার কোনও পড়ুয়া যাতে বাংলার শিক্ষা পোর্টালে নাম তুলতে না-পারে, সেই বিষয়ে নজরদারি করতে হবে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘বৃত্তিমূলক শিক্ষক, প্রশিক্ষকদের সতর্ক ভূমিকা পালনের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে, যাতে কোনও রকম অঘটন না-ঘটে।’ কারিগরি শিক্ষা দফতরের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘অনেক পড়ুয়াই ট্যাব চেয়ে নিজেদের নাম একই সঙ্গে বাংলার শিক্ষা পোর্টাল এবং সংশ্লিষ্ট স্কুলেরই বৃত্তিমূলক শিক্ষা কেন্দ্রের পোর্টালে নথিভুক্ত করিয়েছিল। ফলে তাদের অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা গিয়েছিল দু’বার। তাই এই সতর্কতা।’’
নবান্ন সূত্রের খবর, গত বছর ট্যাব কেনার অনুদান বাবদ পাঠানো টাকা প্রশাসনিক সমন্বয়ের অভাবে অন্তত সাড়ে ১৬ হাজার পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে দু’বার জমা পড়েছিল। পরে সেই সব ছাত্রছাত্রীকে চিহ্নিত করা গেলেও তাদের কাছে পৌঁছনো বাড়তি টাকা সরকারের ঘরে ফেরত এসেছিল কি না, তা স্পষ্ট নয় বলে জানায় নবান্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy