Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Lalan Sheikh

লালন-মৃত্যু: ভিন্ রাজ্যের আইপিএস চায় শীর্ষ আদালত

গত বছর মার্চে রামপুরহাটের বগটুইতে দুষ্কৃতীদের হামলায় তৃণমূলের নেতা ভাদু শেখ নিহত হন। সেই খুনের পরে বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দশ জনের মৃত্যু হয়।

lalan sheikh

বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখ। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৫:৩৭
Share: Save:

বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তকারী দলে ভিন্‌ রাজ্যের দুই আইপিএস অফিসারকে নিয়োগ করতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। তবে কলকাতা হাই কোর্টের নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট-এর প্রধান পদে কোনও বদল হবে না। সেখানে হাই কোর্টের নিযুক্ত রাজ্যের আইপিএস অফিসার প্রণব কুমারই থাকবেন। অন্য রাজ্য থেকে তাঁর সমান পদমর্যাদার দুই আইপিএস-কে নিয়োগ করার কথা বলেছে শীর্ষ আদালত।

গত বছর মার্চে রামপুরহাটের বগটুইতে দুষ্কৃতীদের হামলায় তৃণমূলের নেতা ভাদু শেখ নিহত হন। সেই খুনের পরে বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দশ জনের মৃত্যু হয়। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সিবিআই হেফাজতে মৃত্যুর তদন্তে কলকাতা হাই কোর্ট রাজ্যের পুলিশ অফিসারদের নিয়ে সিট গঠন করেছিল। তদন্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল সিবিআই।

আজ সিবিআইয়ের তরফে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু বলেন, সিবিআইয়ের যে অফিসারেরা বগটুই কাণ্ডের তদন্ত করছিলেন, তাঁদের মধ্যে দু’জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিবিআইয়ের যে সব অফিসার পশ্চিমবঙ্গের গরু পাচার মামলার তদন্ত করছেন, তাঁদের তিন জনের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হয়েছে। সিবিআইয়ের এসপি, ডিআইজি-র বিরুদ্ধেও এফআইআর হয়েছে। রাজু অভিযোগ তোলেন, গোটা রাজ্য প্রশাসন এর মধ্যে জড়িত। গরু পাচার মামলায় বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বেরা জড়িত। তার তদন্তে সিবিআইয়ের সম্পূর্ণ ভিন্ন দল কাজ করছে। তা সত্ত্বেও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রাজু দাবি তোলেন, ‘‘হেফাজতে মৃত্যুর তদন্তে আপত্তি নেই। কিন্তু অন্য কোনও সংস্থা তদন্ত করুক। সেখানে রাজ্যের এক জন অফিসার থাকতে পারেন।’’

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না বলেন, হাই কোর্টের রায়ে যথেষ্ট ভারসাম্য রয়েছে। সিট-এ আরও দু’জনকে নিয়োগ করা যেতে পারে। রাজ্যের আইনজীবী আর বসন্ত বলেন, হাই কোর্ট সিট-এর তদন্তে নজরদারি করছে। এখন সুপ্রিম কোর্ট দু’জনকে সিট-এ নিয়োগ করতে চাইলে তাঁকে রাজ্যের মতামত জানতে হবে। তবে সিবিআইয়ের সঙ্গে যুক্ত কোনও অফিসারকে যেন নিয়োগ না-করা হয়। রাজু বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নিযুক্ত অফিসারদের মধ্যে থেকেই কাউকে সিট-এর প্রধান করা হোক। বিচারপতি খন্না বলেন, তার দরকার নেই। অফিসারেরা যথেষ্ট শক্তিশালী। রাজু বলেন, রাজনীতিকরা তাঁদের থেকেও শক্তিশালী! সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যের বক্তব্য শুনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE