যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দিনে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।
নজরদারির জন্য সিসিটিভি-র ক্যামেরা বসানো হয়েছিল অভিজিত্ চক্রবর্তী উপাচার্য থাকাকালীন। কারণ হিসেবে দফতরের নিরাপত্তা জোরদার করার কথা বলা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই তাঁর অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরা খুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন সুরঞ্জন দাস। এমনকী উপাচার্যের ঘরের দরজা খোলা-বন্ধের ইলেকট্রনিক ব্যবস্থাও নিষ্ক্রিয় করে দিতে বলেছেন তিনি।
সুরঞ্জনবাবু জানান, এ-সবের কোনও প্রয়োজন নেই। যাদবপুরের রেজিস্ট্রার প্রদীপকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্ত একেবারেই ওঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমাদের সেটা মানতেই হবে।’’ প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎবাবু অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
কাজে যোগ দিয়েই সুরঞ্জনবাবু এ দিন জানিয়ে দেন, ছাত্রছাত্রী, গবেষক, আধিকারিক, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য তাঁর ‘দ্বার অবারিত’। তিনি বলেন, ‘‘খোলা আকাশের মতো সম্পর্কের আবহ আমি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও বজায় রাখার চেষ্টা করেছিলাম। এখানেও করব।’’
এ দিন বেলা ১টা নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনে পৌঁছন সুরঞ্জনবাবু। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সমাজবিজ্ঞান— এ-সবের সামঞ্জস্যের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে।’’ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের বাণীর উল্লেখ করে উপাচার্য জানিয়ে দেন, পিছন ফিরে না-তাকিয়ে, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে চলবেন তিনি। অবশ্য যাদবপুর এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইদানীং অস্থিরতার নিদর্শনের কমতি নেই। যাদবপুরের অবস্থানরত পড়ুয়াদের উপরে পুলিশের লাঠি চালানোর ঘটনার বর্ষপূর্তির ঠিক দু’মাস আগে নতুন উপাচার্য হয়ে এলেন সুরঞ্জনবাবু। এ দিন সুরঞ্জনবাবু কাজে যোগ দেওয়ার পরেই সৌজন্য বিনিময়ের জন্য যাদবপুরের শিক্ষক সংগঠন ‘জুটা’ এবং ওয়েবকুপা-র প্রতিনিধিরা দেখা করেন তাঁর সঙ্গে। টিএমসিপি-র এক দল প্রতিনিধিও ফুলের তোড়া নিয়ে সুরঞ্জনবাবুকে স্বাগত জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy