Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Suranjan Das

ক্যাম্পাসে বৈঠকে গিয়ে আটক সুরঞ্জন

সুরঞ্জন দাস। ফাইল চিত্র।

সুরঞ্জন দাস। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:২৪
Share: Save:

বারংবার ঘেরাওয়ের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার পদ ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করার পরেও উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বৃহস্পতিবার ছাত্র সংসদের দাবিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা অনড়। স্মারকলিপি দেওয়ার নামে লাগাতার দাবি জানিয়ে যাওয়ার কৌশল নিয়ে তাঁরা বৈঠক এগোতে দেননি বলে অভিযোগ। ফলে ক্যাম্পাসে দীর্ঘ ক্ষণ আটকে থাকতে হয় উপাচার্য এবং অন্য কর্তাদের।

কর্তৃপক্ষ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সংসদ ফেটসু-কে বুধবার আশ্বাস দেন, বৃহস্পতিবার সব ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল এবং ভর্তি কমিটির যৌথ বৈঠক ডাকা হবে। কিন্তু সেটা নিয়মে আটকায় বলে এ দিন সব ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকের ব্যবস্থা হয়। ঠিক হয়, বৈঠক হবে যুগপৎ অনলাইন ও অফলাইনে এবং উপাচার্য অনলাইনে আলোচনায় যোগ দেবেন। কিন্তু বুধবার শীতের রাতে খোলা আকাশের নীচে সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এবং অন্যদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল। বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিরঞ্জীববাবু এ দিন ক্যাম্পাসের বৈঠকে আসতে পারেননি। ছাত্র সংসদ দাবি তোলেন, উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে আসতে হবে। উপাচার্য আসেন। আসেন বিজ্ঞানের ডিন এবং কয়েক জন বিভাগীয় প্রধানও। বাকিরা অনলাইনে বৈঠকে যোগ দেন।

আড়াইটেয় বৈঠকের শুরু থেকেই দাবির ফিরিস্তি দিয়ে যেতে থাকে ফেটসু। শিক্ষা সূত্রের খবর, অধিকাংশ সমস্যার সুরাহা হয়েছে। এখন যত জট কিছু অকৃতকার্য পড়ুয়াকে পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবি ঘিরেই। রাত ১০টা নাগাদ প্রথম দফার স্মারকলিপি দেওয়া শেষ হলে আলোচনা শুরু হয়।

ফেটসু-র চেয়ারপার্সন অরিত্র মজুমদার জানান, পরীক্ষার সাড়ে ১১ মাস পরে ফল বেরোলে দেখা যায়, সব ভুল! পরীক্ষার এক বছর দু’দিন পরেও সংশোধিত ফল হাতে পাননি পড়ুয়ারা। স্নাতকোত্তর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি চলছে ছ’মাস ধরে। বহু কোর্সের ভর্তিই শুরু হয়নি। ‘‘এ দিন আমরা সব দাবি জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষকে এ দিনই সব সমস্যার সমাধান করে দিয়ে যেতে হবে,’’ বলেন অরিত্র। ফেটসু-র অভিযোগ, জুমসের নিষ্ক্রিয়তায় বহু ছাত্রছাত্রীর চাকরির সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে, আটকে গিয়েছে স্কলারশিপ।

কলা বিভাগের ডিন ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, ‘‘ছাত্রেরা যা করছে, তা নিয়মবহির্ভূত। করোনা পরিস্থিতিতে এটা করা যায় না। এটাকে গণতন্ত্র বলে না।’’ শিক্ষক সংগঠন আবুটা-র পক্ষে গৌতম মাইতি জানান, কিছু পড়ুয়া পরীক্ষা সংক্রান্ত গোপন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চাপ দিয়ে অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করাচ্ছেন। ‘‘আবুটা এর প্রতিবাদ করছে এবং এই ব্যাপারে যথাযথ প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছে,’’ বলেন গৌতমবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Suranjan Das Jadavpur University
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE