একের পর এক নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের শতাংশের হিসেব কমছে। নির্বাচনের নানা রণকৌশল নিয়ে নিরন্তর বিতর্ক চলছে। কিন্তু বুথে গিয়ে ভোট আগলাতে না পারলে যে কিছুই হওয়ার নয়, সেই সারসত্যই ফের উঠে এল সিপিএমের রাজ্য কমিটিতে। দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বৈঠকে বলেছেন, বুথ স্তরে সাংগঠনিক কমিটি গড়ে প্রতিরোধই একমাত্র পথ। সে়টা না হলে কোনও কিছুতেই কিছু হওয়ার নয়।
আলিমুদ্দিনে মঙ্গলবার রাজ্য কমিটির বৈঠকে সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনার সময়েই উঠেছিল চলতি মাসে ৭ পুরসভার ভোটের প্রসঙ্গ। উত্তরবঙ্গের নেতারা বৈঠকে বলেন, ধূপগুড়িতে বিজেপি ৪২% ভোট পেয়েছে। অথচ সেখানে তেমন কোনও ভোট লুঠের অভিযোগ ছিল না। তার মানে বিজেপি-র দিকে ভোট যাওয়ার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। পশ্চিম বর্ধমানের নেতারা জানান, ভোটের নামে প্রহসনের বিরুদ্ধে তাঁরা আইনি লড়াইয়ে গিয়েছেন। আবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদের কিছু নেতা বলেন, ভোটের দিন বারবার শাসক দলের বাহিনীর কাছে ‘আত্মসমর্পণ’ হয়ে যাচ্ছে। জবাবি ভাষণে সূর্যবাবুও ওই আত্মসমালোচনার রেশ ধরে বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আওতায় কোনও নিরপেক্ষ ভোটই আর সম্ভব নয়। তাই নিজেদের ভোটরক্ষার ব্যবস্থা নিজেরা না করলে কোনও উপায় নেই।
রাজ্য কমিটি বৈঠকে উপস্থিত থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, তৃণমূল সংখ্যালঘু তোষণ করে সাম্প্রদায়িকতাকেই মদত দিচ্ছে। উল্টো দিকে বিজেপি সংখ্যাগুরু আবেগকে কাজে লাগাচ্ছে। ভোটের ফল যা-ই হোক, এই রাজনীতির মোকাবিলা বামেদেরই করতে হবে।
ঠিক হয়েছে, অক্টোবর মাস থেকে শাখা স্তরে সম্মেলন শুরু হবে সিপিএমে। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে হবে জেলা সম্মেলন। রাজ্য সম্মেলন হওয়ার কথা ফেব্রুয়ারির শেষে। তবে পঞ্চায়েত ভোট কবে হচ্ছে দেখে রাজ্য সম্মেলনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy