শুক্রবার রাতে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়, ফিরহাদ হাকিম। শনিবার বিকেলে হুগলির ফুরফুরা শরিফে ঘুরে গেলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি-সহ কয়েক জন ধর্মীয় নেতার সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। সূর্যকান্তবাবু বলেন, ‘‘এখানে তো আগেও এসেছি। যেখানে মানুষের সমাগম হয়, আমরা সেখানেই যাই।’’ ছবি: দীপঙ্কর দে।
দলের মধ্যে চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হতে পারেন সূর্যকান্ত মিশ্র। সাম্প্রতিক কালে পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার নজির নেই। কিন্তু এ বার বেনজির পরিস্থিতিতে এমন বেনজির সিদ্ধান্তই নিতে হতে পারে বলে সিপিএম সূত্রের ইঙ্গিত।
পাঁচ বছর আগে সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বের যে সব মুখ ভোটের ময়দানে ছিল, তাদের বেশির ভাগকেই এ বার দেখা যাবে না। এখন কাকে সামনে রেখে ভোটে লড়াই হবে, তা নিয়ে সঙ্কটে আলিমুদ্দিন। সুজন চক্রবর্তীর মতো নেতারা থাকলেও রাজ্য জুড়ে দলে বা বাইরে তাঁদের তেমন গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়নি। তুলনায় বিরোধী দলনেতা হিসাবে পাঁচ বছরে সূর্যবাবু অনেক বেশি সামনের সারিতে আসতে পেরেছেন বলে সিপিএম সূত্রের ব্যাখ্যা। তিনি নিজে অরাজি হলেও এই যুক্তিতেই তাঁকে এ বার প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিতে হতে পারে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-সহ রাজ্য সিপিএম নেতৃত্বের যে অংশ রাজ্য সম্পাদককে ভোটে দাঁড় করানোর বিরোধী ছিলেন, তাঁরাও এখন পরিস্থিতি বিচার করে সুর নরম করেছেন বলে আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর।
তবে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হলেও এ বার নারায়ণগড়ে আর সম্ভবত ফিরবেন না সূর্যবাবু। কলকাতার কাছে যাদবপুর কেন্দ্রটিই তাঁর জন্য বেছে নেওয়া হতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম ইতিমধ্যে একাধিক বার যাদবপুরে সূর্যবাবুকে প্রার্থী চেয়ে আলিমুদ্দিনে চিঠি দিয়েছে। আবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএমও নারায়ণগড়ে সূর্যবাবুর নামই প্রথম পছন্দ হিসাবে রেখে তালিকা পাঠিয়েছে। যদিও বিরোধী দলনেতাকে পাওয়া না গেলে বিকল্প নামও সেখানে ভেবে রেখেছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের বক্তব্য, ‘‘রাজ্য সম্পাদক প্রার্থী হলে বিশেষ পরিস্থিতির জন্যই হবেন। তার
পরে তাঁকে নিশ্চয়ই জিতে আসার মতো আসনেই রাখতে হবে!’’ সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠক বসছে কাল, সোমবার। প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা সেখানেই অনুমোদিত হওয়ার কথা। রাজ্য সম্পাদকের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টিও স্বভাবতই রাজ্য কমিটিতে আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy