প্রতীকী ছবি।
এক দল বিক্ষোভ দেখাচ্ছে নিয়োগের দাবিতে, বেতন-কাঠামোর দাবিতে সরব অন্য দল। অতিমারির মধ্যেই দাবি আদায়ে ফের রাস্তায় নেমেছেন কিছু শিক্ষক ও শিক্ষকপদ প্রার্থী। দাবির সুরাহা না-হলে বড় আন্দোলন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘেরাও অভিযান এবং লাগাতার অনশনেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
২ ডিসেম্বর সল্টলেকে এসএসসি অফিসের সামনে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের দাবিতে ধর্না-বিক্ষোভ ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে। মাঝরাতে বিক্ষোভ হটিয়ে দেয় পুলিশ। একই সময়ে এসএসসি-র প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে যান নবম-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকপদ প্রার্থীরাও। তাঁরা জানান, এসএসসি অফিসে তাঁদের স্মারকলিপি নেওয়া হয়নি। চন্দন মাইতি নামে এক প্রার্থী জানান, নবম-দ্বাদশে নিয়োগের পরীক্ষা হয় ২০১৬ সালে। স্বচ্ছতা ছিল না। প্রতীক্ষার তালিকাভুক্ত ১৫০০ জনের নিয়োগ হয়নি এখনও। চন্দনবাবু বলেন, “কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে ২০১৯-এর মার্চে আমরা বিক্ষোভ-অবস্থান করেছিলাম ধর্মতলায়। মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও তা পূরণ হয়নি। অবিলম্বে দাবি পূরণ না-হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”
ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেন্ড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিটিআই) থেকে পাশ করা প্রার্থীদের প্রাথমিকে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি। সংগঠনের সভাপতি পিন্টু পাড়ুই বলেন, “২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে মমতাদেবী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, পিটিটিআই প্রশিক্ষিতদের নিয়োগ হবে ধাপে ধাপে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি প্রশিক্ষিতদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পালন করা হয়নি। অন্তত ৫০০ প্রার্থী লাগাতার আন্দোলন করে চলেছেন। আমরা এ বার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও অভিযান ও লাগাতার অনশন বিক্ষোভ করব।”
ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন বা ডিএলএড প্রশিক্ষিত ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষকপদ প্রার্থীর অভিযোগ, তাঁরা দীর্ঘদিন প্রতীক্ষার তালিকায় আছেন। নিয়োগ হয়নি।
চাকরি পেয়েও বেতন-কাঠামোর দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করে চলেছেনবেশ কিছু শিক্ষক। বেতন-কাঠামো ও স্থায়ীকরণের দাবি তুলছেন অন্তত ১৬ হাজার পার্শ্ব শিক্ষক। গত ডিসেম্বরে তাঁরা বিকাশ ভবনের সামনে ধর্না দেন। পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, ‘‘টানা ২২ দিন অনশনের পরে শিক্ষামন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন, বেতন-কাঠামো চালু করা হবে। সেই প্রতিশ্রুতি এখনও রক্ষা হয়নি। আমরা আবার লাগাতার আন্দোলনে যাব।”
পঞ্চায়েত থেকে শিক্ষা দফতরে গিয়েও ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র (এসএসকে) এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের (এমএসকে) শিক্ষকদের। তাঁদের একটি সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মুকুলেশ বিশ্বাস বলেন, “আমরা স্থায়ীকরণ ও বেতন-কাঠামোর দাবি তুলেছি।” বেতন-বৈষম্যের অভিযোগে রাজ্যপালকে স্মারকলিপি দেবেন শিক্ষাবন্ধুরাও।
হবু শিক্ষক ও শিক্ষকদের এত ক্ষোভ-বিক্ষোভ কেন? উত্তর পেতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি, এসএমএসেরও কোনও উত্তর দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy