Advertisement
E-Paper

টয়ট্রেনের পথে দখল উঠবে কী করে

রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, রেলের জায়গায় যে সব অবৈধ দখলদার বসেছে বা দোকান হয়েছে, তাদের সরানোর বিষয়টি প্রশাসনের এক্তিয়ারে পরে। রাজ্য সরকারের তরফেই বিষয়টি দেখা দরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৫:১৪
আটকে: এ ভাবেই বাধা আসে টয় ট্রেনের লাইনে। নিজস্ব চিত্র

আটকে: এ ভাবেই বাধা আসে টয় ট্রেনের লাইনে। নিজস্ব চিত্র

কোথাও শহরের মধ্যে লাইনের গাঁ ঘেঁষে দোকান গড়ে উঠেছে। ঘর-বাড়ি তৈরি হয়েছে। আবার কোথাও লাইনের উপরেই বড় গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়। দোকানের পসরা রাখা হয়। ইট, বালু-পাথর ফেলে রাখা হয় লাইনের গা ঘেঁষে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের পর থেকে শুরু করে পাহাড়ের পাকদণ্ডী বেয়ে শৈলশহর পর্যন্ত টয়ট্রেনের গোটা যাত্রা পথেই নানা জায়গায় এ ভাবে লাইনের ধার ঘেঁষে রেলের জায়গা জবর দখল হয়ে রয়েছে। এক দিকে তা যেমন ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক, তেমনই সৌন্দর্যের পক্ষে হানিকরও বটে। যে কারণে দখল উচ্ছেদ করতে রেল নানা সময়ই প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে।

রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, রেলের জায়গায় যে সব অবৈধ দখলদার বসেছে বা দোকান হয়েছে, তাদের সরানোর বিষয়টি প্রশাসনের এক্তিয়ারে পরে। রাজ্য সরকারের তরফেই বিষয়টি দেখা দরকার। সে কারণে রেলের তরফে সমস্যা জানিয়ে বারবার চিঠিও করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। পর্যটন দফতরের প্রধান সচিব অত্রি ভট্টাচার্য বুধবার শিলিগুড়িতে এসে পর্যটনের সুবিধা ও সমস্যা নিয়ে একটি কর্মসূচিতে অংশ নেন। সেখানে সমস্যার কথা তাঁকেও জানান বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থার কর্মকর্তারা। সমস্যার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বিষয়টি দেখছি। তবে এটা সময় সাপেক্ষ। হঠাৎ করে কিছু করা যাবে না। কেন না, অনেক স্পর্শকাতর বিষয় রয়েছে।’’ টয়ট্রেন থেকে ছবি তোলার সময় পড়ে গিয়ে এক পর্যটকের মৃত্যু নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি নিয়েও তিনি রেলের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।

হিমলয়ান হসপিট্যালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানান, জবরদখল সমস্যা মেটাতে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল এবং জেলা প্রশাসনের মধ্য সমন্বয় দরকার। টাউন স্টেশনের কাছে লাইনের ধার ঘেঁষে বস্তি গড়ে উঠেছে। জবরদখলের কারণে যাত্রাপথ হতশ্রী চেহারা নিচ্ছে। গয়াবাড়ি, কার্শিয়াং-সহ অনেক জায়গায় লাইন ঘেঁষে বাড়িঘর হয়ে গিয়েছে।

রেলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সমতলে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের পর থেকে সুকনা পর্যন্ত অংশে নানা জায়গায় এমন জবরদখল রয়েছে লাইনের ধার বরাবর। মহাবীরস্থানে দার্জিলিং মোড় বাজারে লাইনের গা ঘেঁষে দোকান, গুমটি গড়ে উঠেছে। শালবাড়ি বাজারের কাছেও একই পরিস্থিতি। দার্জিলিং মোড়ে বাজার এলাকায় ছোট ট্রাক থেকে শুরু করে হরেক গাড়ি টয়ট্রেনের লাইনের উপর দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায় অনেক সময়ই। ট্রেন আসতে দেখলেও সে সব সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে হোলদোল থাকে না অনেক সময়ে।

হেরিটেজ কমিটির কর্মকর্তারা সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে এলে সমস্যার বিষয়টি তাঁদেরও জানানো হয়। লাইনের দু’ধারে মনোরম পরিবেশ তৈরি করে বাফার জোন করতে বলেন তাঁরা, যাতে অবৈধ দখলদারেরা বসতে না পারে। তাঁরা চাইছিলেন একদিকে হেরিটেজ-এর সৌন্দর্য ধরে রাখতে, অন্যদিকে দখলদার ঠেকাতে। ১৯৯৯ সালের পর থেকে আর নতুন করে অবৈধ দখল হয়নি বলে রেল কর্তৃপক্ষের একাংশ দাবি করে। অন্য অংশের দাবি, এখনও নতুন করে জবরদখল চলছেই।

Toy Train Siliguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy