কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র ।
খাতা স্ক্রুটিনিতে ভুল ধরা পড়েনি। পুনর্মূল্যায়নেও (রিভিউ) ধরা পড়েনি। অথচ কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করতেই বেড়ে গেল প্রায় ৯ নম্বর! তার ফলে নম্বরের বিচারে মেধা তালিকাতেও ঢুকে পড়ল গত বছরের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।
মাধ্যমিকের মতো জীবনের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় এক পড়ুয়ার প্রতি কী ভাবে এমন ‘উদাসীন’ আচরণ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তা নিয়ে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশও করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সম্প্রতি ওই মামলায় তাঁর নির্দেশ, পর্ষদকে তিন সপ্তাহের মধ্যে তন্ময় পতি নামে ওই ছাত্রকে তার প্রাপ্য নম্বর দিতে হবে।
তন্ময়ের পরিবারের আইনজীবী আশীষকুমার চৌধুরী জানান, গত বছর মেধা তালিকায় দশম স্থানে থাকা পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৮৪। তন্ময় এর আগে পেয়েছিল ৬৭৭। সাড়ে আট নম্বর বাড়লে হবে ৬৮৫.৫ (যা পূর্ণমানে ৬৮৬)। তার ফলে সে মেধা তালিকায় স্থান পাবে।
আদালতের খবর, সোনারপুরের বাসিন্দা তন্ময় নরেন্দ্রপুর সারদা বিদ্যাপীঠের ছাত্র। ২০২৩-এ মাধ্যমিকে ৭০০-র মধ্যে ৬৭২ পায় সে। ইতিহাস, অঙ্ক, বাংলায় তার নম্বর যথাযথ হয়নি বলেই মনে হয়েছিল। আশীষ জানান, তন্ময়ের পরিবার ওই তিন বিষয়ের উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের আর্জি জানিয়েছিল। পর্ষদ শুধু ইতিহাসে ৫ নম্বর বাড়িয়ে দেয়। তার পরে উত্তরপত্রের প্রতিলিপি চেয়ে আবেদন করে তন্ময়ের পরিবার। উত্তরপত্র হাতে পেয়ে দেখা যায়, বাংলায় ঠিক উত্তর দেওয়া সত্ত্বে সাড়ে ৬ নম্বর দেওয়া হয়নি। অঙ্কেও ২ নম্বর কম দেওয়া হয়েছে। এর পরে গত ১৪ অগস্ট পর্ষদের কাছে প্রাপ্য নম্বরের জন্য আবেদন করলেও তারা সেই আর্জিতে কর্ণপাত করেনি। এর পরেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় পতি পরিবার। আশীষের আক্ষেপ, ‘‘মেধা তালিকায় ঠাঁই পেলে কত সম্মান, অভিনন্দন পায় পড়ুয়ারা। পর্ষদের গাফিলতিতে সেই সব কিছু থেকে বঞ্চিত হল তন্ময়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy