জলপাইগুড়ির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য উত্তরবঙ্গে ফের প্রতিনিধি দল পাঠাল নবান্ন। —ফাইল চিত্র।
উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পুনর্মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। কতগুলি বাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছে, আর কতগুলির আংশিক ক্ষতি হয়েছে— তা খতিয়ে দেখার জন্য নতুন প্রতিনিধি দল পাঠানো হল জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায়। ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা। সেখানে প্রায় ১৬০০ বাড়ি ভেঙে পড়েছে। লোকসভা ভোটের আদর্শ আচারণবিধির কারণে রাজ্য সরকারের আবেদনের ভিত্তিতে সেই সব বাড়ি নির্মাণের অর্থ দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু জলপাইগুড়ি ছাড়াও যে সব জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার প্রাথমিক হিসাব পেয়েছে নবান্ন। কিন্তু তার পুনর্মূল্যায়ন প্রয়োজন বলেই মনে করছে নবান্ন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাসকদলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করে আসার পরেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। আপাতত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন একটি প্রতিনিধি দলকে পরিদর্শনে পাঠানো হয়েছে। কারণ, আগে যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁদের সমীক্ষা মনে ধরেনি প্রশাসনের। তাই নতুন করে সমীক্ষা করানো হচ্ছে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের মতোই প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্তকে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। ৬০ হাজার করে দু’টি কিস্তিতে দেওয়া হবে। অনেকে ২০ হাজার টাকা করে পেয়ে গিয়েছেন। তাঁরা শীঘ্রই আরও ৪০ হাজার পাবেন। বাকি ৬০ হাজার টাকা দ্বিতীয় কিস্তিতে দেওয়া হবে। নতুন সমীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy