Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Examination

তালিকায় নাম নেই, তবু পরীক্ষা চার জনের

নিজের ইন্টারনেট পরিষেবা নেই বলে ওই কলেজেরই বাণিজ্য বিভাগের এক ছাত্র কলেজে ভবনে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করায় পরীক্ষা নিয়ামকের দফতর থেকে জানানো হয়, তালিকায় নাম না-থাকা চার ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি এখনও তাদের গোচরে আসেনি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

মধুমিতা দত্ত
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২০ ০৪:০০
Share: Save:

তাঁরা পরীক্ষা দিতে চেয়েছিলেন। অধ্যক্ষ অনুমতি দেওয়ায় পরীক্ষা দিচ্ছেনও। কিন্তু পরীক্ষার্থীর তালিকায় নামই নেই ওই চার পড়ুয়ার! এটা ঘটেছে কলকাতার চিত্তরঞ্জন কলেজে। অতিমারির প্রাদুর্ভাবের জন্য এ বার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত সিমেস্টার এবং চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষায় ঘরে বসে উত্তর লিখে সেই খাতা ই-মেল বা হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। অথবা নিজে কলেজে গিয়ে উত্তরপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। এই পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় চিত্তরঞ্জন কলেজের অধ্যক্ষ শ্যামলেন্দু চট্টোপাধ্যায় জানতে পারেন, বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত চূড়ান্ত পরীক্ষার্থী-তালিকায় তাঁর কলেজের চার পরীক্ষার্থীর নাম নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ওই চার জনের মধ্যে দু’জন পরীক্ষায় বসার জন্য ফর্মই পূরণ করেননি। অন্য দু’জন ফর্ম পূরণ করলেও তালিকায় নাম নেই তাঁদেরও। কলেজে যোগাযোগ করে ওই চার পড়ুয়া জানান, তাঁরা পরীক্ষায় বসতে চান। শেষ মুহূর্তে বিষয়টি জানতে পেরে অধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়কে সব কিছু জানান। এর মধ্যেই এসে যায় পরীক্ষার দিন। তিনি ওই চার জনকে পরীক্ষায় বসতে দেন। ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের জীবন তো নষ্ট হতে দিতে পারি না। তাই পরীক্ষায় বসতে দিয়েছি। সেই সঙ্গে বিষয়টি জানিয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষকে,’’ শনিবার বলেন শ্যামলেন্দুবাবু।

নিজের ইন্টারনেট পরিষেবা নেই বলে ওই কলেজেরই বাণিজ্য বিভাগের এক ছাত্র কলেজে ভবনে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করায় পরীক্ষা নিয়ামকের দফতর থেকে জানানো হয়, তালিকায় নাম না-থাকা চার ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি এখনও তাদের গোচরে আসেনি। তবে শ্যামলেন্দুবাবু এক ছাত্রের কলেজে বসে পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) আশিস চট্টোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন। যদিও শ্যামলেন্দুবাবু জানাচ্ছেন, চার পড়ুয়ার বিষয়টি তিনি এক বার নয়, দু’-দু’বার ই-মেল করে পরীক্ষা নিয়ামককে জানিয়েছেন।

আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজে এ দিনও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২১ জন পরীক্ষা দিয়েছেন বলে জানান অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতি। বৃহস্পতিবার এই ভাবে পরীক্ষা দেন ৩১ জন। অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘ইউজিসি-র নিয়ম মেনেই পরীক্ষা নিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক এ দিন সব ঘুরে দেখেছেন। তিনি কোনও আপত্তি তোলেননি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Examination College Students
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE