Advertisement
০৫ মে ২০২৪

সরকারি চাকরিতে নিশ্চিত ভবিষ্যৎ

কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি মানে নিশ্চিত ভবিষ্যৎ। কিন্তু ঠিক ভাবে প্রস্তুতি না নিলে এই চাকরি পাওয়া কঠিন। লক্ষ্য সরকারি চাকরি হলে স্কুলের পাঠ শেষেই এর প্রস্তুতি শুরু করে দিন। পাশে চলুক কলেজের পড়া।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:১৮
Share: Save:

কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি মানে নিশ্চিত ভবিষ্যৎ। কিন্তু ঠিক ভাবে প্রস্তুতি না নিলে এই চাকরি পাওয়া কঠিন। লক্ষ্য সরকারি চাকরি হলে স্কুলের পাঠ শেষেই এর প্রস্তুতি শুরু করে দিন। পাশে চলুক কলেজের পড়া।

কম্বাইন্ড ম্যাট্রিক লেভেল: কেন্দ্রীয় সরকারের লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক, স্টেনোগ্রাফার পদে এই পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক। ২০০ নম্বরের প্রাথমিক পরীক্ষা এবং ৩০০ নম্বরের মূল পরীক্ষার পর স্কিল টেস্ট, টাইপ ও স্টেনোগ্রাফির পরীক্ষা।

কম্বাইন্ড গ্র্যাজুয়েট লেভেল: স্টাফ সিলেকশন কমিশন আয়োজিত এই পরীক্ষার মাধ্যমে ইনকাম ট্যাক্স, সেন্ট্রাল এক্সাইজ, কাস্টমস্ ইত্যাদির ইনস্পেক্টর, রেলওয়ে বোর্ড, বিদেশ মন্ত্রক ইত্যাদির গ্রুপ বি নন-গেজেটেড ইনস্পেক্টর, সিবিআইয়ের সাব-ইনস্পেক্টর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট এনফোর্সমেন্ট অফিসার পদে, ডিভিশনাল অ্যাকাউন্ট্যান্ট, অডিটর, জুনিয়র অ্যাকাউন্ট্যান্ট, আপার ডিভিশন ক্লার্ক ইত্যাদি পদে নিয়োগ হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দিষ্ট সময় নেই। তবে তা প্রকাশের তিন মাস পরে পরীক্ষা। ২০০ নম্বরের প্রাথমিক পরীক্ষার পরে পদ অনুযায়ী পৃথক মূল পরীক্ষা। তারপর পার্সোনালিটি টেস্ট।

স্পেশাল ক্লাস রেলওয়ে অ্যাপ্রেন্টিস: ভারতীয় রেলে অ্যাপ্রেন্টিস নিয়োগ করা হয় এই পরীক্ষায়। শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিকে অন্তত দ্বিতীয় বিভাগ (অঙ্ক ও পদার্থবিদ্যা বা রসায়ন থাকতে হবে)। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাস তিনেক পরে ৬০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ও ১০০ নম্বরের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়।

সেকশন অফিসার অডিট: কেন্দ্রীয় সরকারে সেকশন অফিসার অডিট পদে নিয়োগ হয় স্টাফ সিলেকশন কমিশন আয়োজিত এই পরীক্ষার মাধ্যমে। স্নাতক হলেই হবে। লিখিত পরীক্ষার পরে ইন্টারভিউ।

ট্যাক্স অ্যাসিস্ট্যান্ট এগ্জামিনেশন: সেন্ট্রাল বোর্ড অফ এক্সাইজ অ্যান্ড কাস্টমস্ এবং সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্যাক্সেস-এর বিভিন্ন কমিশনারেটে নিয়োগ করা হয় এই পরীক্ষার মাধ্যমে। স্নাতক হলেই হবে। কম্পিউটারে ‘ডেটা এন্ট্রি-স্পিড’ যেন ভাল হয়। লিখিত পরীক্ষার পরে এই দক্ষতাটাই যাচাই করে নেওয়া হয়।

সেন্ট্রাল পুলিশ (সাব-ইনস্পেক্টর) পরীক্ষা: প্রতি বছর পাঁচ কেন্দ্রীয় বাহিনীতে হাজারের বেশি নিয়োগ হয় সেন্ট্রাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (সাব-ইনস্পেক্টর) পরীক্ষার মাধ্যমে। এর মধ্যে কেবলমাত্র সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের জন্য আবেদন করতে পারেন মহিলারা। স্নাতক হলেই হবে। এনসিসি-র বি বা সি সার্টিফিকেট এবং খেলাধূলার সার্টিফিকেট থাকলে অগ্রাধিকার। ৫০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার পরে দৈহিক সক্ষমতার পরীক্ষা। সফল হলে পার্সোনালিটি টেস্ট।

ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি অ্যান্ড ন্যাভাল অ্যাকাডেমি এগ্জামিনেশন: এই পরীক্ষার মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিন শাখা—আর্মি, নেভি ও এয়ারফোর্সে অফিসার পদে নিয়োগ করা হয়। শুধুমাত্র ছেলেরা আবেদন করতে পারেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল্য। এয়ারফোর্স, নেভি এবং এগজিকিউটিভ শাখার ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিকে পদার্থবিদ্যা ও অঙ্ক থাকতে হবে। দৈহিক মাপজোক খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর্মি ও নেভির ক্ষেত্রে উচ্চতা ১৫৭.৫ সেমি। এয়ারফোর্সের ক্ষেত্রে ১৬২.৫ সেমি। বুকের ছাতি ফুলিয়ে ও না-ফুলিয়ে যথাক্রমে ৮১ ও ৮৬ সেমি। আর্মি ও এয়ারফোর্সের ক্ষেত্রে ৬/৬, ৬/৯ এবং নেভির ক্ষেত্রে ৬/১২, ৬/১২ দৃষ্টিশক্তি থাকতে হবে। বয়স হতে হবে ১৬ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। বছরে দু’বার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়—মার্চ-এপ্রিল এবং অক্টোবর-নভেম্বর মাসে। প্রকাশকাল থেকে চার মাস পর পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষা, গ্রুপ ডিসকাশন, সাইকোলজিক্যাল অ্যাপটিটিউড টেস্ট, ইন্টেলিজেন্স টেস্ট, দৈহিক মাপজোক ও দৈহিক সক্ষমতা যাচাইয়ের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই হয়।

ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস: এই পরীক্ষার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবেশমন্ত্রকে দেশের বনাঞ্চল ও পরিবেশ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আধিকারিক নিয়োগ করা হয়। বোটানি, জুওলজি, কেমিস্ট্রি, জিওলজি, অঙ্ক, ফিজিক্স, স্ট্যাটিস্টিক্স, এগ্রিকালচার, ফরেস্ট্রি, অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি ও ভেটেরিনারি সায়েন্স—যে কোনও একটিতে স্নাতক হলেই হবে। এমনকী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতকরাও আবেদনের যোগ্য। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস নাগাদ। ১০০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ও ৩০০ নম্বরের পার্সোন্যালিটি টেস্ট নেওয়া হয়।

সিভিল সার্ভিসেস এগ্জামিনেশন: কেন্দ্রীয় সরকারের সবচেয়ে বড় চাকরির পরীক্ষা নিঃসন্দেহে সিভিল সার্ভিস। প্রতি বছর এই পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রক ও দফতরে আধিকারিক পদে নিয়োগ হয়। যে কোনও শাখায় স্নাতক হলেই হয়। চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীরাও শর্তসাপেক্ষে আবেদন করতে পারেন। বয়স ২১-৩০। পরীক্ষা একটু কঠিন। তাই কোমর বেঁধে প্রস্তুতি নিতে হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে। পরীক্ষা হয় মে-জুন মাসে। প্রার্থী বাছাই হয় প্রাথমিক, মূল পরীক্ষার পর ইন্টারভিউ নিয়ে।

ইকনমিক/স্ট্যাটিস্টিকাল সার্ভিস: ইউপিএসসি-র মাধ্যমে এই পরীক্ষা নেওয়া হয় প্রতি বছর। নিয়োগ হয় ইন্ডিয়ান ইকনমিক সার্ভিস ও ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল সার্ভিসে আধিকারিক পদে। ইকনমিক্স বা অ্যাপ্লায়েড ইকনমিক্স বা বিজনেস ইকনমিক্সে স্নাতকোত্তর হলে ইন্ডিয়ান ইকনমিক সার্ভিসের পরীক্ষা দেওয়া যায়। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে স্ট্যাটিস্টিক্স, বা ম্যাথমেটিক্যাল স্ট্যাটিস্টিক্স বা অ্যাপ্লয়েড স্ট্যাটিস্টিক্স-এ স্নাতকোত্তর পাশ করতে হয়। বয়স ২১-৩০-এর মধ্যে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় জুন-জুলাই মাসে। পরীক্ষার সময় নভেম্বর মাস। ১০০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ও ২০০ নম্বরের পার্সোনালিটি টেস্ট নেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tips competitive examination
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE