প়ড়ার সময় নিয়ম করেই পড়ে ডোডো। কিন্তু পরীক্ষার সময় ছোটখাট ভুল তার লেগেই রয়েছে। কী করে ছেলের এই অন্যমনস্কতা সামাল দেবেন বুঝে উঠতে পারেন না বাবা-মা। শিশু মনস্তত্ত্বের বিশেষজ্ঞ হিরণ্ময় সাহা জানালেন বাচ্চাদের অন্যমনস্কতা সাধারণ ব্যাপার। চঞ্চল বাচ্চার ক্ষেত্রে এই প্রবণতা স্বাভাবিক। হিরণ্ময়বাবুর কথায়, ‘‘সাধারণত চঞ্চল বাচ্চারা বুদ্ধিমান হয়। তাদের অন্যমনস্কতা বড় সমস্যা নয়। এযত্ন নিলেই তা কাটিয়ে ওঠা যায়।’’ কী ভাবে? রইল কিছু পরামর্শ।
• আপনার সন্তান চঞ্চল হলে মারধর করবেন না। ওর পছন্দের জিনিস দিয়ে কোনও কাজে মনোনিবেশ করতে শেখান। এতে মনোসংযোগের ক্ষমতা বাড়ে।
• সন্তানের মনঃসংযোগে কেন ব্যাঘাত ঘটছে বাবা-মাকে বুঝতে হবে। হয়তো বাড়ির পরিবেশেই এমন কোনও সমস্যা রয়েছে যা শিশুর মনকে থিতু হতে দিচ্ছে না।
• অনেক সময় পরিজনেরা বা স্কুলের শিক্ষকরা বাচ্চাকে অবহেলা করেন। এ থেকে বাচ্চার নিজের প্রতি বিতৃষ্ণা জন্মায়। এটাও কিন্তু অন্যমনস্কতার কারণ হতে পারে।
• সন্তানকে এক সঙ্গে অনেক কিছু করতে বাধ্য করবেন না। পড়া, নাচ-গান, ছবি আঁকা, সাঁতার প্রত্যেকটা কাজের সময় বেঁধে দিন। সন্তানের ভাল লাগাকেও গুরুত্ব দিন।
• জোর করে কখনওই পড়াবেন না। এতে তখন হয়তো ও পড়াটা করে ফেলবে। কিন্তু বিষয়বস্তু মনে গেঁথে যাবে না। ফলে, অন্যমনস্কতার জন্য পরে ও ভুল করবে।
• পড়াশোনা নিয়ে বাবা-মায়ের প্রত্যাশা বেশি হলে বাচ্চার মনে চাপ পড়ে। এতে বাচ্চা অন্যমনস্ক হয়ে যেতে পারে।
সন্তান অন্যমনস্ক হলে বাবা-মায়ের ধৈর্য ধরাটা খুব জরুরি। ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামলান। না হলে সমস্যা জটিল হবে। স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজারে নানা ওষুধ বিক্রি হয়। ঘুণাক্ষরেও সন্তানের উপর তা প্রয়োগ করবেন না। দরকারে মনোবিদের পরামর্শ নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy