দু’ সপ্তাহের মধ্যে আরও একবার বিক্ষোভের মুখে শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। শনিবার তাঁর দফতরে ঢুকে তৃণমূলের ছাত্র-যুব সংগঠনের কয়েকজন নেতা-কর্মী অভব্য আচরণ করে বলে অভিযোগ।
শহরে জল সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগে গত ১১ সেপ্টেম্বর পুরসভায় ঢোকার মুখে প্রায় দেড় ঘণ্টা মেয়রের গাড়ি আটকে রাখে তৃণমূল। আর এ দিন সেনা ট্রাকের ধাক্কায় জখমদের চিকিৎসার জন্য খরচের প্রতিশ্রুতি কেন পালন করা হয়নি সেই প্রশ্ন তুলে তাঁর ঘরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। শনিবার বেলা একটা নাগাদ এই বিক্ষোভের পরে মেয়র অভিযোগ করেন তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্থার চেষ্টা হয়। এর প্রতিবাদে এ দিন বিকেলে হিলকার্ট রোডের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল করে সিপিএম।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর একটি সেনা ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শিলিগুড়ির বর্ধমান রোডে একটি শপিংমলের সামনে ফুটপাথে উঠে পড়লে এক জনের মৃত্যু হয়। জখম হন বেশ কয়েকজন। টিএমসিপি’র জেলা সভাপতি নির্ণয় রায়ের দাবি, প্রধাননগরের একটি নার্সিংহোমে ট্রাকের ধাক্কায় জখম বালক প্রতীক লামার চিকিৎসা বাবদ এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর মেয়র ঘোষণা করেছিলেন নার্সিংহোমে জখমরা চিকিৎসা করালে পুরসভার তরফে দু’লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। অথচ ওই বালকের বাবা তাসি লামা শুক্রবার পুরসভায় গেলে মেয়রের দফতরের লোকেরা তাঁকে জানিয়ে দেন ঘটনার দিন অ্যাম্বুল্যান্সের খরচ দেওয়া হয়েছে। আর কিছু এখন মিলবে না। সে কারণেই এ দিন ওই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তাঁরা মেয়রের দফতরে যান। যদিও মেয়র জানিয়ে দিয়েছেন, এ রকম কোনও আবেদন তাঁর কাছে জমা পড়েনি।
তিনি বলেন, ‘‘আগে থেকে না-জানিয়ে এ দিন আমার দফতরে ঢুকে পড়ে তৃণমূলের লোকজন। আমাকে শারীরিক ভাবে হেনস্থার চেষ্টা হয়। এটা দুর্ভাগ্যজনক।’’ সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সভাপতি জীবেশ সরকার বলেন, ‘‘আন্দোলনের নামে এ ভাবে মেয়রকে হেনস্থা, এই সংস্কৃতি শহরে ছিল না। তৃণমূল বারবার মেয়রকে আক্রমণ করছে। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।’’
অশোকবাবুদের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে বিক্ষোভকারী নেতারা। নির্ণয়বাবুর বক্তব্য, ‘‘মেয়র মিথ্যে কথা বলছেন। কোনও রকম অভব্য আচরণ করা হয়নি বা তাঁকে হেনস্থা করা হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy