E-Paper

সোমবারই রায় ঘোষণা, ভোটের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মাথাব্যথার কারণ হতে পারে শাসক তৃণমূলে

রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের পর্যবেক্ষণ, গত ১২ বছরে দু’বার বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে বেসামাল হয়েছে তৃণমূল সরকার। ২০২০-২১ সালে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি তার থেকেও বড় বিড়ম্বনা হতে পারে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:৩৭
tmc

—প্রতীকী ছবি।

ভোটের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নতুন করে মাথাব্যথার কারণ হতে পারে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। আগামী সোমবার এই মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা। আর তা নিয়েই নতুন করে দলের অন্দরে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। তৃণমূল অবশ্য চাকরিতে যোগ্যদের সুযোগের বিষয়টিকেই এই পরিস্থিতিতে ঢাল হিসেবে রাখতে চাইছে।

রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের পর্যবেক্ষণ, গত ১২ বছরে দু’বার বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে বেসামাল হতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সরকারকে। বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগে শাসক দলের একাধিক নেতার নাম জুড়লেও সদ্য ক্ষমতায় আসা তৃণমূল জনপ্রিয়তার জোরে সেই পরিস্থিতি সামলে নিয়েছে। কিন্তু ২০২০-২১ সালে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি তাদের জন্য তার থেকেও বড় বিড়ম্বনার কারণ হতে পারে। উপর থেকে নীচে পর্যন্ত, নানা স্তরে দলের একাধিক নেতামন্ত্রীর সরাসরি যোগের অভিযোগ সামনে এসেছে এই মামলায়। ভোটের মধ্যে তারই রায় ঘিরে নতুন করে আলোড়নের সম্ভাবনা তৈরি করেছে রাজ্যের রাজনীতিতে। এই রায়ে শাসক দলের জন্য ঠিক কোন পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে, তা নিয়ে দুর্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।

এই মামলায় তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী, দলের দুই বিধায়ক ও একাধিক নেতা গ্রেফতার হলেও এই অভিযোগে বিরোধী নেতৃত্ব সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে দুর্নীতিতে বিরোধীদের নিশানা হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ করলেও এই ঘটনা সামনে আসার পরে থেকে কোটি কোটি টাকা, গয়না, সম্পত্তি উদ্ধারের ঘটনায় দলের ভাবমূর্তিতে যে ধাক্কা লেগেছে, সেটা মেনেও নিয়েছে তৃণমূল। এই অবস্থায় মামলার রায়ে নতুন কী সামনে আসে, তা নিয়ে ভোটের মধ্যে দুশ্চিন্তা বেড়েছে দলীয় নেতৃত্বের।

রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, “এই মামলার রায় অবশ্যই রাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শাসক দলের প্রায় সবাই এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।” সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “যাঁরা অর্থের বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের অবশ্যই চাকরি যাওয়া উচিত। কিন্তু যাঁরা যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের চাকরি যাতে থাকে সেটা দেখার দায়িত্ব ছিল কমিশনের।” তাঁর সংযোজন, “বিধানসভায় এই সব কথা আমি তুলেছিলাম। কিন্তু কে কার কথা শোনে!”

এই পরিস্থিতিকে অবশ্য আলাদা ভাবে দেখতে নারাজ রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলছেন, “এই মামলায় একটা অংশকে হেয় করার চেষ্টা হয়েছিল। তার মধ্যে রাজনীতিও ছিল।” তবে এই মুহূর্তে নতুন ধাক্কা সামাল দিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করার বিষয়টিতেই জোর দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমরা বারবারই বলেছি, অযোগ্যদের চাকরি বাতিল করা হোক। তবে একই সঙ্গে যোগ্যদের চাকরির জন্য রাজ্য সরকার যে উদ্যোগী হয়েছিল, সেই প্রক্রিয়া চালু করতে আদালত ভূমিকা নেবে বলেই আশা করছি।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

TMC Recruitment Case West Bengal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy