পুরভোটে প্রার্থী হয়েও দলীয় নির্দেশে সরে দাঁড়ালেন চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুঁই। ফাইল চিত্র
প্রার্থিতালিকায় নাম রেখেও চাঁপদানির বিধায়ককে পুরভোট থেকে সরিয়ে নিল তৃণমূল শিবির। শুক্রবার প্রথম তালিকায় নাম না থাকলেও, রাতে হুগলি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে পাঠানো দ্বিতীয় তালিকায় নাম ছিল চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুঁইয়ের। সূত্রের খবর, শনিবার তাঁকে কলকাতায় ডে়কে পাঠানো হয়। কলকাতায় এসে তিনি সাক্ষাৎ করেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তখনই তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, পুরভোটে প্রার্থী হতে পারবেন না তিনি। সেই মতো বিকল্প প্রার্থীর সন্ধানও শুরু করে দিয়েছে হুগলি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন অরিন্দম। পরে পুরবোর্ডের প্রশাসকও হয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই নীলবাড়ির লড়াইয়ে তাঁকে চাঁপদানি বিধানসভায় প্রার্থী করেছিল তৃণমূল।
প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে তৃতীয় স্থানে ফেলে প্রথম বারের জন্য বিধায়ক হন অরিন্দম। শুক্রবার বিকেলে প্রকাশিত তালিকায় ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর স্ত্রী মিত্রা গায়েনকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হলেও, রাতে তা বদলে যায়। পরে জেলা তৃণমূলের সভাপতিকে যে তালিকা পাঠানো হয়, তাতে ২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হিসেবে নাম ছিল অরিন্দমের। এ ক্ষেত্রে তাঁর স্ত্রীর নাম বাদ পড়ে গিয়েছিল দ্বিতীয় তালিকা থেকে। কিন্তু শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল মহাসচিব জানিয়ে দেন, কোনও বিধায়ক পুরভোটে প্রার্থী হতে পারবেন না। শেষ পর্যন্ত সেই নিয়মেই বাদ পড়তে হল অরিন্দমকে।
শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দল যে নীতির কথা ঘোষণা করেছে, সেই নীতি অনুযায়ী চাঁপদানির বিধায়ক প্রার্থী হবেন না। তাই দ্বিতীয় তালিকায় তাঁর নাম থাকলেও, তিনি প্রার্থী হচ্ছেন না। আমরা ওই ওয়ার্ডে বিকল্প প্রার্থী দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy