প্রতীকী ছবি।
দু’বছর তদন্তের পরে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাচার চক্রে জড়িত অভিযোগে ধরা পড়ল দুই ভাই। পাচারের ওই ঘটনার সঙ্গে কলকাতার বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালের যোগ রয়েছে বলে পুলিশি সূত্রের খবর।
গুয়াহাটি পুলিশ জানায়, ২০১৬ সালে গুয়াহাটির মানবকমল শর্মা ও পরাগ শর্মা ডিব্রুগড়ের মরানের এক বাসিন্দাকে প্রস্তাব দেয়, একটি কিডনি বিক্রি করলে ছ’লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। তাঁকে কলকাতার ওই হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের জন্য আনা হয়। কিডনি নেওয়ার পরে নগদ এক লক্ষ টাকা এবং পাঁচ লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয় তাঁকে। জাল সই থাকায় সেই চেক বাউন্স করে। তিনি পুলিশে অভিযোগ জানান। পুলিশ শনিবার দুই ভাইকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই এই কারবারে যুক্ত। প্রলোভন দেখিয়ে গুয়াহাটি থেকে লোকেদের এনে বাইপাসের ধারে ওই হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করানো হত।
মুকুন্দপুরের অভিযুক্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁরা এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে এর আগেও ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে বেআইনি অঙ্গ পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। তার তদন্ত চলছে। বারবার একই অভিযোগ কেন? হাসপাতালের এক কর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগ উঠলেও কিছু প্রমাণ হয়নি। সব স্তরের কর্মীদের উপরে নজর রাখা হয়েছে। কোনও অনিয়ম বরদাস্ত হবে না।’’
স্বাস্থ্য ভবন জানায়, কয়েকটি চক্র অঙ্গ পাচারের সঙ্গে যুক্ত। এক শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, ‘‘বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। নজরদারি রয়েছে। ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপনেও নজর রাখা হচ্ছে। ফলে দুষ্ট চক্র ধরা পড়বেই। অবৈধ অঙ্গ ব্যবসার প্রবণতা কমাতে সরকারি ভাবে অঙ্গদান নিয়ে লাগাতার প্রচার চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy