(বাঁ দিকে) আবু নাসের খান চৌধুরী ও (ডান দিকে) ইশা খান চৌধুরী।—ফাইল চিত্র
গনি খানের নাম ব্যবহারে পিছিয়ে থাকতে চাইছেন না কেউই। কালিয়াচকের সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রতীকে লড়ছেন গনি পরিবারের অন্যতম সদস্য আবু নাসের খান চৌধুরী (লেবু)। তাঁর বিরুদ্ধে বৈষ্ণবনগরের বিদায়ী বিধায়ক তথা কোতুয়ালি পরিবারের আরেক সদস্য ইশা খান চৌধুরীকে প্রার্থী করতে চলেছে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। ফলে সুজাপুর আসনে হতে চলেছে কাকা-ভাইপোর লড়াই।
সুজাপুরে বরাবরই বরকতের পরিবারের উপরে আস্থা রেখেছেন সাধারণ মানুষ। এ বার সেই পরিবার থেকে দু’জন প্রার্থী হতে চলায় উভয় সঙ্কটে পড়ে গিয়েছেন তাঁরা। তবে কংগ্রেস এবং তৃণমূল দুই দলই জয়ের বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা গণি পরিবারের অন্যতম সদস্য মৌসম নূর বলেন, ‘‘কেউ ব্যক্তিগত কারণে দল ছাড়লে মানুষ তাঁকে কখনও সমর্থন করবে না।’’ তবে লেবুবাবু এ বার গোড়া থেকেই প্রচারে জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসে থেকে বরকতদার স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব নয়। আশা করি মানুষ আমার পাশেই থাকবে। আর কংগ্রেস তা বুঝতে পেরে আমার বিরুদ্ধে ইশাকে প্রার্থী করতে চলেছে।’’
গনি খানের আরেক ভাই আবু হাসেম খান চৌধুরীর (ডালু) ছেলে ইশা খান চৌধুরী। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুজাপুরে বুথ স্তরের কর্মীদের নিয়ে বৈঠকও করছেন ইশাবাবু। এমনকী নিয়মিত এলাকায় যাচ্ছেন তিনি। এক রকম ভোট প্রচারই যেন শুরু করে দিয়েছেন তিনি। যদিও ইশাবাবু বলেন, ‘‘আমি সুজাপুর ও বৈষ্ণবনগরের দলের দায়িত্বে রয়েছি। আর দল আমাকে যেখান থেকে প্রার্থী করবে সেই আসন থেকেই লড়াই করব আমি।’’ জেলা কংগ্রেস সভাপতি মৌসম বলেন, ‘‘এখনও প্রার্থীর নাম ঠিক হয়নি। আমাদের দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয় হাইকম্যান্ড থেকে।’’
কোতুয়ালি পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত বিধায়ক ছিলেন গনি খান। ১৯৭৭ সালের পরে তিনি সাংসদ হয়েছিলেন। গনি খানের পর ওই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তাঁরই বোন রুবি নূর। রুবি নূরের মৃত্যুর পর ওই কেন্দ্রে মাস তিনেকের জন্য বিধায়ক হন মৌসম নূর। তিনি সাংসদ হওয়ার পর সুজাপুর কেন্দ্রের বিধায়ক হন আবু নাসের খান চৌধুরী। তিনি ওই কেন্দ্রের দু’বারের কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন। ফলে ১৯৫২ সাল থেকে ২০১১ বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত ওই কেন্দ্রের বিধায়ক হয়ে আসছেন কোতুয়ালি পরিবারের সদস্যেরাই। তাই কংগ্রেস ও তৃণমূল দু’দলই আসনটি ছাড়তে নারাজ। সপ্তাহ দুয়েক আগে লেবু বাবু বরকতের মেয়ে ইয়াসমিনকে নিয়ে গিয়ে সুজাপুর কেন্দ্রে সভা করেছেন। এখন দেখার এ বার সুজাপুর কী করে। সেই কোতোয়ালি পরিবারেরই দুই সদস্যকে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়তে দেখে অবাক সুজাপুর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy