পোষ্যকে আনা মাত্রই তার সমস্ত দায়িত্ব আপনার। যাতে কুকুরটি ভবিষ্যতে কোনও রোগের শিকার না হয় তার জন্য প্রয়োজন কিছু টিকাকরণ। পরামর্শ দিলেন প্রাণিরোগ বিশেষজ্ঞ পূর্ণেন্দুবিকাশ ভট্টাচার্য।
তিন মাস বয়স পর্যন্ত দুই তিন সপ্তাহ অন্তর কৃমিনাশক ওষুধ দিতে হবে। তিন মাস বয়সের পর প্রতি মাসে এক বার ওষুধ দিতে হবে। ছ’মাস বয়সের পর থেকে প্রতি তিন মাস অন্তর কৃমিনাশক ওষুধ দিতে হবে। একই ওষুধ না দিয়ে মাঝে মাঝে ওষুধ বদলে দিতে পারেন। তবে কখনও নিজে থেকে ওষুধ নির্বাচন করবেন না। এ বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
কৃমির ওষুধ না দিলে রাউন্ডওয়ার্ম, টেপওয়ার্ম পোষ্যের শরীর দুর্বল করে দেবে। রক্তাল্পতা, লিভারের সমস্যা, ডায়রিয়ায় বছরভর ভুগবে। শরীর-স্বাস্থ্যও ধীরে ধীরে ভেঙে পড়বে। কখনওই সুফলের আশায় অতিরিক্ত কৃমির ওষুধ খাইয়ে দেবেন না পোষ্যটিকে। এতে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুও হতে পারে তার।
এর পরবর্তী পদক্ষেপ টিকাকরণ। এমন নানা রোগ রয়েছে যা দিন কয়েকের মধ্যেই কে়ড়ে নিতে পারে সারমেয়র প্রাণ। আবার কুকুরের এমন অনেক অসুখ রয়েছে যা মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে। তাই কয়েকটি রোগ প্রতিষেধক ও টিকাকরণ আবশ্যিক। টিকাকরণের আগে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।
ছয় সপ্তাহের পর: আপনার পোষ্যকে কম্বাইন্ড ভ্যাকসিন (ক্যানাইন পারবো ভাইরাস, ক্যানাইন ডিসটেম্পার ভাইরাস, ক্যানাইন অ্যাডিনো ভাইরাস টাইপ ১ ও ২, ক্যানাইন প্যারা-এনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, ক্যানাইন করোনা ভাইরাস, লেপ্টোস্পাইরা কেনিকোলা, লেপ্টোস্পাইরা ইকটেরোহেমোরেজিই) অবশ্যই দিতে হবে।
বারো সপ্তাহের পর: এই বয়সে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ্যাকসিন হল অ্যান্টি রেবিস বা জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধক টিকা। সঙ্গে আগের টিকাগুলো বুস্টার করে দিতে হবে।
এই টিকাকরণ প্রতি বছর অবশ্যই দিতে হবে। নির্দিষ্ট কার্ডে তারিখ, বর্ণনা ও পরবর্তী টিকাকরণের দিন নথিভুক্ত করতে হবে। মনে রাখবেন, টিকাকরণের ভ্যাকসিন রেফ্রিজারেটারের একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় থাকে। উপযুক্ত পরিকাঠামো ছাড়া এই ভ্যাকসিন নষ্ট হয়ে যায়। তাই চিকিৎসকের কাছ থেকে টিকাকরণ না করালে পোষ্যর জীবনও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
সাক্ষাৎকার: মোনালিসা ঘোষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy